স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ নভেম্বর : রাজ্যে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। এই জঙ্গলের রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে আইনের শাসন পুনর প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সোমবার মুক্তধারা অডিটরিয়ামে ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন রাজ্য কমিটি এবং উপজাতি যুব ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির যৌথ উদ্যোগে রাজ্যব্যাপী গণকনভেনশনে বক্তব্য রেখে এই কথা বলেন ডি ওয়াই এফ আই রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেব। এদিন তিনি আরো বলেন, রাজ্যের শিশু, ছাত্রী, যুবতী এবং মহিলারা প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে। আর যারা তাদের উপর আক্রমণ করছে তারা শাসক দলের নেতা, কর্মী, সমর্থক এবং বাইক বাহিনীর সদস্য। যে কারণে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার পর্যন্ত করছে না।
আর কোন কারণবশত যদি গ্রেপ্তার সম্ভব হয় তাহলে সেই অপরাধে যখন জেল থেকে বের হয়ে আসে তখন তাকে ফুলের মালা দিয়ে বিজেপি বরণ করে। ফলে দিনের পর দিন নারী সংক্রান্ত অপরাধ রাজ্যে বেড়ে চলেছে। এর বিরুদ্ধে সরকারের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে যাতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। রাজ্যের দুর্নীতি সরকারের অলংকারে পরিণত হয়েছে। একই সাথে চুরি, ছিনতাই, মাফিয়া রাজ এবং পাচার বাণিজ্যের ঘটনাও বেড়ে চলেছে। এর বিরুদ্ধে সরকারকে আগামী দিন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তৃতীয়ত নেশা এবং নেশা কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানানো হচ্ছে। ২০১৮ সালে বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সরকারের নেতৃত্বে যখন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখন শ্লোগান উঠেছিল নেশা মুক্ত ত্রিপুরা। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে ২০১৮ সালের পর এই সরকার শত শত শাসক দলের নেতৃত্বকে মদের লাইসেন্স দিয়ে কাউন্টার খোলার সুবিধা করে দিয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় এলাকায় মাতব্বরদের নেশার বাণিজ্য করার সুযোগ করে দিয়েছে। এভাবে উৎসাহিত করেছে নেশা কারবারীদের বর্তমান সরকার।
অপরদিকে শত শত স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এ সরকার। আর এদিকে কর্মসংস্থানের সংকটে পড়ে রাজ্যের বেকাররা নেশাটি বেছে নিচ্ছে। কারণ তারা ভাবছে তাদের সামনে আর কোন দিশা নেই। আর এভাবে কাজের কাজে লাগিয়ে রাজ্যের শাসক দলের একাংশ নেতাকর্মী আর্থিক ভাবে ফুলে ফেঁপে উঠছে। আরো বলেন, বামফ্রন্ট সরকারের সময় নেশা মুক্তির স্লোগান ছিল না। আর এই সময় এইচ আই ভি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৩৮ জন। এরমধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩ জন। ২০১৮ সালে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮২৮ জন। ২০২৩-২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭২৯ জন। অর্থাৎ এ সরকার নেশায় যুব সমাজকে ভাসিয়ে দিতে চাইছে। আয়োজিত কনভেনশনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডি ওয়াই এফ আই রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিক, আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন, এস এফ আই রাজ্য সম্পাদক সন্দীপন দেব সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।