স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ নভেম্বর : রহস্যজনক মৃত্যু গৃহবধূর। মৃত গৃহবধুর নাম সপ্না দাস, স্বামী রাজীব দাস। ঘটনা রাজধানীর মধ্য ভুবনবন এলাকায়। মৃত গৃহবধুর বাপের বাড়ি লোকজনদের অভিযোগ, ১৮ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল স্বপ্না এবং রাজীবের। অন্য মেয়ের সাথে সে ভাড়া বাড়িতেও সময় কাটাতেন। রাজীব এভাবে বিভিন্ন মেয়ের সাথে ফষ্টিনষ্টি করত।
বিভিন্ন সময় সপ্নাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য বলতেন। এ নিয়ে সংসারে ঝামেলা বেঁধে থাকতো। মদমত্ত হয়ে অভিযুক্ত স্বামী রাজীব সপ্নাকে মারধর করত। গত কয়েকদিন আগে সপ্না স্বামীর যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়িতে চলে আসে। শনিবার সকালে সপ্নাকে তার মা শশুর বাড়িতে দিয়ে আসে। তারপর দুপুরে নাগাদ খবর পায় মৃত্যু হয়েছে সপ্নার। রবিবার দুপুরে যখন মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় তখন তারা আরও অভিযোগ করেন সপ্নাকে খুন করেছে তার স্বামী। গত কয়েকদিন আগে অভিযুক্ত রাজীব তার শাশুড়িকে ফোন করে বলেছিল তিনি যাতে তার মেয়ের সাথে গিয়ে কয়েক দিন থাকে।
কাজের সূত্রে সে বাড়ির বাইরে থাকবে কয়েকদিন। এতে শাশুড়ি রাজি না হওয়ায় হুমকি দিয়ে বলেছিলেন যদি কিছু হয় তাহলে সেটা পরে বুঝতে পারবে। পরবর্তী সময়ে গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনকে ফোন করে জানায় আত্মহত্যা করেছে সপ্না। কিন্তু এই ঘটনায় যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে বাপের বাড়ির লোকজনের। কারণ মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় থাকলেও কিছু কারণবশত তাদের সন্দেহ হয় যে সপ্নাকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। রবিবার মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের লোকজন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে স্পষ্ট হবে খুন নাকি আত্মহত্যা।