স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ অক্টোবর : রবিবার দ্বিতীয় রেফারেল হাসপাতালে চিকিৎসার অভাবে এক রোগীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। মৃত রোগীর নাম শান্তি সাহা। বয়স ৫৪। বাড়ি রাজধানীর প্রতাপগড় এলাকায়। মৃত রোগীর পরিবার অভিযোগ তুলেন রবিবার সকালে তারা অসুস্থ অবস্থায় শান্তি সাহাকে আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল।
হাসপাতালে আনার পর শ্বাসকষ্ট হয় শান্তি সাহার। সাথে সাথে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে। সেখানে কোন চিকিৎসকের দেখা পায়নি রোগীর পরিবার। তারপর কথা বলেন হাসপাতালের অন্য বিভাগের চিকিৎসকদের সাথে। তারা রোগীকে না দেখে সরাসরি রেফার লিখে দেন জিবি হাসপাতালে। বহু অনুরোধ করার পরেও রোগীকে একবারের জন্য এসে দেখে নি। জিবি হাসপাতালের রেফার করার পরই এম্বুলেন্সে তোলার সময় রোগী রক্ত বমি শুরু করেন। সাথে সাথে রোগীকে আবার নামিয়ে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কোন চিকিৎসক নেই রোগীকে দেখার জন্য। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রোগী। তারপর যখন রোগীর পরিবারের লোকজন চিৎকার শুরু করে তখন আশেপাশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা এসে জানিয়ে দেয় তাদের রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তারপর রোগীর পরিবার অভিযোগ তুলে হাসপাতালে সময় মতো এসেও চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হয়েছে রোগীর। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে পরিবারে লোকজন। আঙ্গুল তুলে হাসপাতালের পরিষেবার দিকে।
প্রশ্ন হলো হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা পাওয়ার কথা থাকলেও হুঁশ হারিয়েছেন কতিপয় চিকিৎসক। শুধু তারা নয়, তাদের কাজকর্ম দেখাশোনা করার দায়িত্ব রয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিকদের। আধিকারিকরা শুধু মাত্র সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ফটোসেশন করে গল্প শুনিয়ে চলেছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের যত সামান্য পরিষেবা পর্যন্ত হাসপাতাল গুলি থেকে মিলছে না কতিপয় চিকিৎসকের কারণে। হাসপাতাল গুলি পরিদর্শনে কোন নাম গন্ধ নেই এই আধিকারিকদের। জনগণের পয়সায় প্রতিমাসে মোটা অংক মাইনে পেয়ে গেলেই দায়িত্ব থেকে খালাস তারা। আর এটাই বর্তমান সরকারের স্বপ্নের চিকিৎসা হাব।