স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ অক্টোবর : মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান ৭.০ -এর অঙ্গ হিসেবে বৃহস্পতিবার আগরতলা পুর নিগমের ৩৯ নং ওয়ার্ডে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, ৩৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অলক রায় সহ অন্যান্যরা।
আগরতলা পুর নিগমের মেয়র বক্তব্য রেখে বলেন, বর্তমানে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিপ্লব হয়েছে। অনেক পরিবর্তন এসেছে এই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে। কারণ বর্তমান সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবার। যার ফলে এখন বহু জটিল চিকিৎসা ও অস্ত্রপ্রচার রাজ্যে সম্ভব হচ্ছে। বহির্রাজ্যে যেতে হয় না। এবং তাই জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আজকে যারা শিশু তারা আগামী দিন দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের সুস্থ রাখতে সরকার মুখ্যমন্ত্রীর সুস্থ শৈশব সুস্থ কৌসুর অভিযানের মতো বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করছে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, আজ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ্য শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান সপ্তম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। চলবে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রথম পর্যায়ে চলবে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার, স্কুল, ডিগ্রী কলেজ, টেকনিক্যাল কলেজ এবং আইটিআই গুলোতে, এর সময়সীমা হল ২৪ শে অক্টোবর থেকে ৩০ শে অক্টোবর পর্যন্ত।
তারপর মপাপ রাউন্ড হবে ৩১ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত। এ পর্যায়ে আশা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কর্মসূচি সাফল্যমন্ডিত করবে। সেইসঙ্গে মায়েরা যাতে শিশুদেরকে ৬ মাস পর্যন্ত কেবলমাত্র মাতৃ দুগ্ধ পান করায় তার উপরেও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মসূচি নেওয়া হবে। এই কর্মসূচিতে মূলত কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানো হবে। ১ বছর থেকে ১৯ বছরের সমস্ত শিশু কিশোর কিশোরীদের। আয়রন ফলিক এসিডের সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হবে ৬ মাস বয়সের শিশুদের থেকে শুরু করে ১৯ বছর পর্যন্ত শিশু কিশোর কিশোরীদের। ভিটামিন – এ সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হবে ৯ মাস বয়সের থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত শিশুদেরকে। এছাড়া ১০ বছরের শিশুদের এবং ১৬ বছরের কিশোর-কিশোরীদের টিটেনাস ডিপথেরিয়ার নেয় নি তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পোষণ অভিযানের অন্তর্গত ৬ বছরের নিচে যে সমস্ত শিশুরা রয়েছে তাদের ওজন এবং উচ্চতা মাপা হবে এবং এর মাধ্যমে পুষ্টি নির্ধারণ করা হবে। ১৯ বছরের নিচে শিশু কিশোর কিশোরীদের শরীরে কোন ধরনের ফুসকুড়ি এবং জ্বর যদি থাকে সেটা আশা কর্মীরা নির্দিষ্ট ফর্মে লিপিবদ্ধ করবেন এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রিপোর্ট করবেন। এর মাধ্যমে হাম এবং রুবেলা রোগ কারোর আছে কিনা সেটা নির্ণয় করা হবে।