স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ অক্টোবর : মঙ্গলবার মিরাকল ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়া এবং ত্রিপুরা রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের উদ্যোগে মিশন বাৎসল্য প্রকল্পের উপর এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। আগরতলার একটি বেসরকারি হোটেলে হয় এই কর্মশালা। এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন জয়ন্তী দেববর্মা, ভলেন্টিয়ারী হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন সুলেখা রায় সহ অন্যান্যরা।
চেয়ারপার্সন জয়ন্তী দেববর্মা জানান, মিশন বাৎসল্য মূলত ২০২০ সালে করোনায় যেসব শিশুরা তাদের মা, বাবাকে হারিয়েছে তাদের নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিল ভারত সরকার। এর মধ্যে এই প্রকল্পটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হতে আজকের এই কর্মশালা বলে জানান শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন জয়ন্তী দেববর্মা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো তথ্যহীনভাবে শিশু সুরক্ষা কমিশন এই প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। কারণ রাজ্যে কতজন শিশু অতিমারির কারণে মাতৃহারা এবং পিতৃহারা হয়েছে সেই তথ্য এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পারেনি শিশু সুরক্ষা কমিশন।
এই বিষয়ে জয়ন্তী দেববর্মা আবার জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে নাকি এই তথ্য রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুরা পড়াশোনার জন্য প্রতি মাসে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত সুযোগ সুবিধা পাবে। এছাড়াও তারা হোমে থাকার জন্য সুযোগ পাবে। সব মিলিয়ে বলা যায় পিতৃহারা ও মাতৃহারা শিশুরা যাতে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে তার জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এই প্রকল্পে। কিন্তু অতিমারি শেষ হওয়ার দুই থেকে তিন বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে তথ্যই নেই।
যারা তথ্য সংগ্রহ করতে পারল না তারা কিভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে? কারণ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে তথ্য থাকাটা স্বাভাবিক, কিন্তু দপ্তরের কোন অদৃশ্য কারণবশত যদি কোন শিশু বঞ্চিত হয় তাহলে সেই শিশুর জন্য পাশে দাঁড়াতে পারবে শিশু সুরক্ষা কমিশন। কিন্তু সেই তথ্য সংগ্রহ না করে ঘটা করে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এমনটাই গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে এদিন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সকলের মধ্যে।