স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ অক্টোবর : গৃহবধূকে প্রানে মারার চেষ্টা অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে । ঘটনা চড়িলাম এলাকায়। বিশালগড় মহিলা থানায় মামলা করা হলে পুলিশ অদৃশ্য কারণে হাত গুটিয়ে বসে আছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চড়িলাম আড়ালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অসহায় বৃদ্ধ মা নার্গিস বেগম ২০১৪ সালে একই গ্রামের মুকেশ নবীর সঙ্গে বিয়ে দেয় মর্জিনা খাতুনকে। বিয়ের পর প্রথম কিছুদিন ভালোই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু ধীরে ধীরে শুরু হয় সংসারে অশান্তি। টাকার জন্য বারবার গৃহবধূ মর্জিনা খাতুনকে চাপ দিত তার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বেশ কয়েকবার তাকে মারধর ও করা হয়।
মেয়ের সুখের চিন্তা করে অসহায় তার মা বাবা এবং ভাই মর্জিনা খাতুনের শশুর বাড়িতে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছিল। টাকা দেওয়ার পর এক দুই বছর ভালো ছিল। এরপর আবার শুরু হয় টাকার জন্য মর্জিনা খাতুনকে নির্যাতন। প্রতিনিয়ত টাকার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করত নির্যাতন করত। গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত্রিবেলায় প্রচন্ডভাবে মারধর করে মুখ বেঁধে ঘরের মধ্যে দরজা বন্ধ করে রেখে দেওয়া হয় মর্জিনা খাতুনকে। গত ২২ সেপ্টেম্বর জোর করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়। ঘরের মধ্যে কাতরাতে থাকে মর্জিনা।
শশুর বাড়ির লোকজন ফিরেও তাকায় নি। শেষমেষ খবর পেয়ে মর্জিনার ভাই ফারুক ইসলাম বাবা জামাল হোসেন এবং মা নারগিস বেগম দৌড়ে ছুটে যায় মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে। গাড়ি রিজার্ভ করে তার মা বাবা ভাই তাকে নিয়ে যায় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন ফিরেও তাকায়নি। শেষ পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রেফার করে দেওয়া হয় হাঁপানিয়া হাসপাতালে। হাপানিয়া হাসপাতাল থেকে দুইদিন পূর্বে বাড়িতে আসে মর্জিনা। বিশালগড় মহিলা থানায় পাঁচ জনের নাম দিয়ে মামলা করে মর্জিনা খাতুনের ভাই ফারুক ইসলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ।