স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ অক্টোবর : মুখে সুশাসন, বাস্তবে দুঃশাসন! রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত পুলিশকেও হার মানিয়েছে বাইক বাহিনীর তিন মাতাল যুবক। এ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করা গেল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নেতাজি চৌমুহনী এলাকায়। ট্রাফিক ভেহিকেল আইন লংঘন করে তিন বখাটে যুবক মাতাল হয়ে নেতাজি চৌমুহনি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ট্রাফিক পুলিশ দাঁড়াতে বলে, তখন তারা সেখান থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের টেনে ধরে।
তখন দুই ট্রাফিক কর্মীকে চোর সাজিয়েছে দুই যুবক। তাদের প্রশ্ন কেন এভাবে তাদের টেনে ধরা হলো। এই ট্রাফিক কর্মীরা নাকি চোর! তাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করে অঙ্গি ভঙ্গি করে তিন যুবক। শুধু তাই নয় মুখ দিয়ে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করে দুই ট্রাফিক কর্মীকে আঙ্গুল নাচিয়ে যা বললেন তা ভদ্র সমাজকে কুলুষিত করবে। শুধু তাই নয় সাম্প্রদায়িক ঘটনাও ঘটতে পারে। ট্রাফিক কর্মীকে তারা পরিচয় দেয়, তারা বাইক বাহিনীর সদস্য, পুলিশ তাদের কিছু করতে পারবে না। আজ রাতে বাড়ি যেতে পারবে না এই দুই ট্রাফিক কর্মী। রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে দেখা মানুষ জানায় তারা নাকি সত্যিই বাইক বাহিনীর সদস্য। তারা এদিন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের মিছিল থেকে যাওয়ার পথে এই তান্ডব চালিয়েছে নেতাজি চৌমুহনি এলাকার।
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো নাকের ডগায় পশ্চিম আগরতলা থানা। কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করতে পারল না তাদের বিরুদ্ধে। এ যদি রাজনৈতিক দলের শিক্ষা হয়ে থাকে বা বাইক বাহিনীর শিক্ষা হয়ে থাকে তাহলে সমাজ কোন দিকে পরিচালিত হবে? শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এসব দেখে মাথা নীচে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। এ ধরনের দৃশ্য কোনদিন পথে-ঘাটে না দেখা গেলেও এদিন সত্যিই মানুষকে তাজ্জব করেছে। কতটা আস্পর্ধা হলে এভাবে শহরের মধ্যে বুকের ছাতা ফুলিয়ে সরকারি কাজে বাধা দিয়ে হেস্তনেস্ত করতে পারে ট্রাফিক কর্মীকে। যতদূর জানা যায় এই তিন যুবকের বাড়ি রাজধানীর শহর দক্ষিণাঞ্চলের বড়দোয়ালী, কবিরাজ টিলা ও মধ্যপাড়া এলাকায়।