স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ অক্টোবর : পাচারকারীদের হাতে রক্তাক্ত হয়েছে হরিশ চন্দ্র পান্ডে নামে এক বিএসএফ জওয়ান। আহত বি এস এফ জওয়ান ১৫০ ব্যাটালিয়ন কলসিমুড়া বিওপি -তে কর্মরত। ঘটনাটি ঘটে কলসিমুড়া দুধপুকুর সীমান্তের ১৮৯ নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকায়। জানা যায় শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে বাগবের গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্ত এলাকায় মোমিন মিয়ার বড় ছেলে রিয়াজ মিয়া চিনি পাচারের চেষ্টা করছিলেন। গেট দিয়ে পাট্টা লাগিয়ে চিনি পাচার করার সময় বিএসএফ জুয়ান হরিশ চন্দ্র পান্ডে তা দেখে বাধা দেন।
পাচারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর, রিয়াজ তার ভাই রিফাত, বাবা মুমিন ও মা একত্রে বিএসএফ জওয়ানকে আক্রমণ করেন। রিয়াজ একটি কাঠের টুকরো দিয়ে জোয়ানের মাথায় আঘাত করে। যার ফলে জোয়ানের মাথা থেকে প্রচুর রক্ত ঝরতে থাকে।আক্রমণকারীরা তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে, তবে আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ জওয়ান শেষ পর্যন্ত তার ইনচার্জ রাইফেল থেকে উপরের দিকে এক রাউন্ড গুলি ছুঁড়েন।গুলির শব্দ শুনে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে জড়ো হয় এবং পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর স্থানীয়রা আহত বিএসএফ জওয়ানকে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য জিবিপি হাসপাতালে রেফার করেন।
জানা যায় তার মাথায় ১৫ টি সেলাই লেগেছে। ঘটনার খবর পেয়ে কলমচৌড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে ছুটে গিয়ে আহত জওয়ানের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন এবং পাচারকারী রিয়াজ ও তার পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করার চেষ্টা শুরু করেন। জানা যায় মুমিন ও তার দুই ছেলে ঘটনার পর পরই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। বিএসএফের পক্ষ থেকে রিয়াজ, রিফাত, মুমিন এবং তাদের মায়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। রিয়াজের বিরুদ্ধে চিনি পাচার ছাড়াও রোহিঙ্গা পাচার, মানব পাচার ও গরু চুরি সহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তার এইসব অবৈধ কার্যকলাপের জন্য কয়েকবার জেলও খেটেছেন। তবু তিনি কোন ধরনের সংশোধন হয়নি। এই ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এখন দেখার বিষয় পুলিশ কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়।