স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ সেপ্টেম্বর : ত্রিপুরা রাজ্যে এই প্রথম শারদোৎসব উপলক্ষ্যে ৯ লক্ষ ৮৩ হাজার রেশন কার্ড হোল্ডারকে ১ কেজি চিনি, ২ কেজি ময়দা এবং পাঁচশ গ্রাম সুজি বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। এর জন্য সরকারের ব্যয় হবে ছয় কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। সরকারিভাবে এই ঘোষণা হওয়ার পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা বলেছেন, সরকার চিনির মূল্য প্রতি কেজিতে ৭ টাকা করে বৃদ্ধি করে দুর্গাপূজার উপহার ঘোষণা করেছে। এতে সরকারের লাভ হবে।
অর্থাৎ সাত টাকা করে চিনির মূল্য বৃদ্ধি করার সরকারের আয় হবে প্রতিমাসে ৬৮ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা। বছরে অতিরিক্ত ৮ কোটি ২৫ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা আয় হবে জনগণের পকেট থেকে। এভাবে পকেট কাটা প্রতি বছর চলবে। রাজ্যবাসীর সাথে প্রতারণা করেছে সরকার। এমনটাই অভিযোগ উঠার পর রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের মহিলারা খুশি হয়েছেন। মহিলারা যাতে পূজাতে সুজি, চিনি এবং ময়দা ব্যবহার করতে পারে তার জন্যই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্তকে কংগ্রেস স্বাগত না জানিয়ে নেক্কারজনক রাজনীতি করছে। তাদের এই ধরনের রাজনীতি রাজ্যের মানুষ বর্জন করেছে। জনসমর্থন তাদের আজ তল্লানিতে। তাদের একমাত্র পুঁজি সাংবাদিক সম্মেলন। গত বিধানসভায় নির্বাচনে তারা দেওলিয়া হয়ে কমিউনিস্টদের সঙ্গে আঁতাত করেছিল। কিন্তু মানুষ তাদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে। ভরাডুবি ঘটেছে এই দলের।
তাই স্বাভাবিকভাবে পরাজয় থেকে শিক্ষা না নিয়ে জনমুখী সিদ্ধান্তগুলি কংগ্রেস মানতে চাইছে না। কংগ্রেস জনগণের বিরুদ্ধে কথা বলছে। টেন্ডার ভিত্তিক চিনির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে চিনির মূল্য বৃদ্ধি করে নি। টেন্ডার ভিত্তিক সাত টাকা মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগণের পকেট কাটার জন্য সরকার কিংবা দপ্তর মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছে তিনি। আরো বলেন, কংগ্রেস বিগত দিনে মানুষকে টুপি পরিয়েছিল। তারপর জনগণ কংগ্রেসকে উল্টো টুপি পরিয়ে দেয়। তাই এখন মানুষকে বিভ্রান্ত করতে কংগ্রেস ভবনের চার দেওয়ালের মধ্যে থেকে দেউলিয়াপনা করছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান তিনি।