স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ সেপ্টেম্বর : রাজধানীর ভট্ট পুকুর স্থিত অন্যতম বনেদি ক্লাব আপনজন। গত কয়েকদিন আগে ক্লাব এলাকার এক বহুতল ফ্ল্যাটে দূর্গা পূজার চাঁদা হিসেবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেছিল। ২৫ হাজার টাকা করে চাঁদা মিটিয়ে দিতে পারবে না বলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল বহু তল ফ্লাটের পরিবার গুলি। তারপর তাদের রক্ত চক্ষু দেখায় ক্লাবের কতিপয় মাতব্বর। বিষয়টি নিয়ে অরুন্ধতী নগর থানায় মামলা হয়েছিল বলে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশকে কলাপাতা করে ক্লাব কর্তৃপক্ষের এ ধরনের রক্তচক্ষু যখন খোদ মুখ্যমন্ত্রী নজরে আসে তখন নড়েচড়ে বসে তারা।
তারপর বিষয়টি নিয়ে লেজে গোবরে পা দিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ এমনটাই গুঞ্জন গোটা এলাকায়। রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ সম্প্রচার হওয়ার পর আপনজন ক্লাব মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করে। অবশেষে শনিবার ক্লাবের সদস্য সহ ফ্ল্যাটের মালিক পক্ষ নিজেদের মধ্যে আলোচনাক্রমে ঝামেলা মিটিয়ে নেয়। রবিবার আপনজন ক্লাবের সদস্যরা ক্লাব গৃহে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়ে জানান। দুই পক্ষই এ দিন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন। তারা বলেন এই ফ্ল্যাটের মালিকের কাছে একটা ডোনেশন চাওয়া হয়েছিল।
ডোনেশন অর্থাৎ অর্থরাশি বন্যায় দুর্গতদের সহযোগিতা করতে। কিন্তু পরবর্তী সময় বিষয়টি তাদের মধ্যে মীমাংসা হয়ে গেছে। যাইহোক মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রে এ ধরনের কার্যকলাপ করার পেছনে হয়তো তীব্র ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। তবে ক্লাবের সদস্যরা এইদিন স্বীকার করে নেন তাদের ক্লাব এলাকায় কেউ জায়গা ক্রয় করলে কিংবা ফ্ল্যাট ক্রয় করলে তারা ডোনেশন নিয়ে থাকে। এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষ পর্যন্ত জমির দালালি, ফ্ল্যাটের দালালি থেকে মুক্তি পায়নি। ক্লাবের নাম করে তোল্লাবাজি থেকে শুরু করে এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ করে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রীকেই ঘুমের বিক্রি করে এ ধরনের কার্যকলাপ ২০২৩ থেকে আরো মাইলেজ বেড়েছে।