স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ সেপ্টেম্বর : দূর্গা পূজার চাঁদা না দেওয়ায় পূজা উদ্যোক্তারা গাড়ি আটকে চালক এবং সহ চালককে মারধোর করে গাড়ি ভাঙচুর চালায়। ঘটনা বিশালগড় থানাধীন নৌকাঘাট সংলগ্ন এলাকায়। অভিযুক্তরা চড়িলাম বাজার সংলগ্ন শিববাড়ি এলাকার একটি পূজা কমিটি সদস্য। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শনিবার বিকালে নাগাদ হোসেন মিয়া নামে এক গাড়ি চালক রাবার সিট নিয়ে সোনামুড়া থেকে আগরতলা আসার সময় চড়িলাম বাজার সংলগ্ন শিববাড়ি এলাকায় কিছু যুবক রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে টি আর ০৭ ১৬১৬ নম্বরের গাড়িটি দাঁড় করানোর জন্য হাত দেখায়।
তখন গাড়ি চালক দাঁড়ায়, তখন তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা দূর্গা পূজার চাঁদা দাবি করে। গাড়ি চালক জানায় এত টাকা পূজার চাঁদা দিতে পারবে না সে। তখন তাকে মারধর শুরু করে। কোনক্রমে গাড়িতে উঠে সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসার সময় তার গাড়ির পেছনে উঠে পড়ে এক যুবক। নৌকা ঘাট এলাকায় আসার আগেই তার গাড়ির সামনে এসে রাস্তা আটকে দাঁড়ায় দুই বাইক নিয়ে কয়েকজন যুবক। তারপর গাড়ি চালক হোসেন মিয়া ও সহ চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে আবার বেধড়ক মারধর করে। তারপর গাড়ি ভাঙচুর চালায়। শেষ পর্যন্ত হোসেন মিয়া গাড়িতে উঠে কোনক্রমে পালিয়ে বিশালগড় থানায় এসে আশ্রয় নেয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট বলেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কেউ মানছে না। যার কারণে পুজোর মুখে তাদের গাড়ি চালানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও তাকে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা দিতে হয়েছে। চাঁদা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে গাড়ি চালকরা।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে ব্যাপক বন্যায় রাজ্যের অর্ধেকের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন আসন্ন দুর্গাপূজায় কোন ক্লাব কর্তৃপক্ষ চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজি করতে পারবে না, একই সাথে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে কোন পূজো উদ্যোক্তা গাড়ি চালকদের কাছ থেকে চাঁদা নিতে পারবে না। কিন্তু কে শুনে কার কথা! মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে গোটা রাজ্যে চলছে দুর্গাপূজার জন্য চাঁদা জুলুমবাজি। পূজা কমিটি গুলি পরোয়া করছে না মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ। মানুষের বাড়ি ঘরে গিয়ে পূজার চাঁদার জন্য যেমন এক প্রকার ভাবে জুলুম বাজি চলছে, অপরদিকে জাতীয় সড়কে পাশে দাঁড়িয়ে পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে চাঁদার জুলুমবাজি করছে। কিন্তু নির্বিকার প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পর্যন্ত পাত্তা দিচ্ছে না পুলিশ। যার কারণে আবারো চাঁদার জন্য মার খেতে হল এই গাড়ি চালককে।