স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ সেপ্টেম্বর : বেহাল অবস্থায় আট নং আসাম- আগরতলা জাতীয় সড়কের। চলাচলের অযোগ্য জাতীয় সড়ক মেরামতির দাবিতে যান চালক সহ স্হানীয় লোকজন ও যাত্রীদের উদ্যোগে বিগত ছয় মাসে পাঁচ বার অবরোধ সংগঠিত হয়েছে। তারপরও নিটফল সেই শূন্য। অবশেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কামনা করে যান চালক থেকে শুরু করে স্হানীয় জনগণ ও যাত্রীদের। জানা যায়, রাজ্যের লাইফ লাইন তথা আট নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের চুরাইবাড়ি থনার সামনে থেকে থেকে বাগবাসা ট্রাই জংশন পর্যন্ত প্রায় এগারো কিমি জাতীয় সড়ক ভগ্ন দশায় পরিণত হলেও হেলদোল নেই রাজ্যের ডাবল ইঞ্জিন সরকারের।
মুখে উন্নয়নের বুলি উড়ানো নেতা মন্ত্রীরা আজ মুখে কুলুপ এঁটেছেন। ফলে ভোগান্তির শিকার যান চালক থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষ, ছাত্র ছাত্রী ও যাত্রীরা। অনেকে আবার দূর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু ঘটেছে। বহিঃ রাজ্য থেকে আসা লরি চালকরা জানান, তারা বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী নিয়ে রাজ্যে একবার এসে ঘুরে গেলে দ্বিতীয়বার আর আসতে চাইছেন না। শুধু তাই নয় স্থানীয় অটো চালক, টুকটুক চালক, কিংবা বাইক আরোহী প্রত্যেকেই একই সমস্যার সম্মুখীন। রোগী নিয়ে এম্বুলেন্স বড় বড় গর্তে ফেঁসে যাচ্ছে। অনেকে এই বেহাল জাতীয় সড়কের কারনে ঘরবন্দী। সড়কটির অধিকাংশ জায়গায় ড্রেনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের উপর জল জমে বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে।সংস্কার কিংবা ড্রেন তৈরীর কোন উদ্যোগ নিছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তর।একদিকে পুকুর সমান গর্ত তো অন্যদিকে বৃষ্টির জলে টিলা মাটির ধ্বস নেমে কাদায় পরিণত হয়ে রয়েছে সড়কের উপর। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে যান চালক থেকে শুরু করে স্থানীয় পথচারী। অভিযোগ অবৈজ্ঞানিক কাজের ফলে পাহাড়ের জল রাস্তায় নেমে এমন দুর্দশা দেখা দিয়েছে। কেননা জাতীয় সড়কের উল্লেখিত এলাকায় সড়কের দুপাশে কালভার্ট ও ড্রেন যে জায়গায় রয়েছে সেগুলো মান্ধাতার আমল থেকে বন্ধ হয়ে রয়েছে। অবশেষে স্থানীয় জনগণ ও লরি চালকরা শেষমেশ আট নং জাতীয় সড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে খেরেংজুড়ি এলাকার লম্বা গাছ সংলগ্ন এলাকায় শুরু হয় এই পথ অবরোধ।
পথ অবরোধকারীদের বক্তব্য, এবার তাদের পাঁচবার পথ অবরোধ চলছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। জাতীয় সড়ক দিয়ে যানচলাচল একপ্রকার বন্ধের মুখে। যেকোন সময় বন্ধ হয়ে পড়তে পারে সড়ক পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা। ছোট যানবাহন বন্ধ হলেও বড় বড় যানবাহন আপাতত অনেক কষ্টে চলাচল করছে। তাও বেশি দিন চলবে না। তারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করলে প্রশাসনের তরফে নিম্নমানের ইট দিয়ে গর্ত ভরাট করা হয়। যা বড় বড় গাড়ির চাকায় গুঁড়া হয়ে কাঁদায় পরিনত হয়ে যায়। তাই তাদের দাবি পাথর দিয়ে জাতীয় সড়কটি নূন্যতম চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হোক। অন্যথায় তাদের জাতীয় সড়ক অবরোধ জারি থাকবে। সাথে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দাবি করেছেন অবরোধকারীরা। এদিকে এদিনের জাতীয় সড়ক অবরোধের জেরে অবরোধ স্হলের উভয় পাশে গাড়ির দীর্ঘ লাইন পরিলক্ষিত হয়। সংবাদ লেখা পর্যন্ত জাতীয় সড়ক অবরোধ অব্যাহত রয়েছে।