স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ সেপ্টেম্বর : তপশিলি উপজাতি জনকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের দারস্থ হলেন প্রদেশ কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা, বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায়, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস, প্রাক্তন বিধায়ক অশোক দেববর্মা, কংগ্রেসের এসটি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান শব্দ কুমার জমাতিয়া, এসটি নেতা মনমোহন রিয়াং রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লুর সাথে দেখা করেন।
রাজ্যপালের কাছে তারা জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিধানসভা অধিবেশনে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন সহ কংগ্রেসের বাকি বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ট্রেজারি বেঞ্চের কাছে অভিযোগ করেছিল মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার আর্থিক দুর্নীতি করেছেন। অর্থাৎ উপজাতি উন্নয়নের জন্য এশিয়ান ব্যাংক থেকে যে ১৪০০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেছে এর উন্নয়নের গুচ্ছ প্রকল্প দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বিশদ আলোচনাও হয়েছে বিধানসভায়। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রী নিজে সাংবাদিক সম্মেলন করে সম্পত্তির সততা স্বীকার করেছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে মন্ত্রী দাবি করেছেন তিনি আগে থেকেই এই অর্থ সম্পত্তির আধিকারি। কিন্তু ২০২৩ সালে নির্বাচনের সময় যখন বিকাশ দেববর্মা এফিডেভিট জমা দিয়েছিলেন তখন এত সম্পত্তি তার এফিডেভিদের মধ্যে উল্লেখ ছিল না। তিনি মাত্র ৫৬ লক্ষ টাকা নির্বাচন কমিশনকে দেখিয়েছিলেন। সুতরাং গত দেড় বছরে এত টাকা ও সম্পত্তির মালিক তিনি কিভাবে হয়েছেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে। রাজ্যপালকে বলা হয়েছে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর অর্থ গায়েব করেছেন নাকি নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনি অর্থ ও সম্পত্তির পরিমাণ লুকিয়েছে সেটা যাতে অবশ্যই সাংবিধানিকভাবে তদন্ত করার জন্য ব্যবস্থা নিতে মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি অবিলম্বে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করে তদন্ত শুরু করে আইনের ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। এমনটাই জানিয়েছেন ডেপুটেশনের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।