স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ সেপ্টেম্বর : ব্র্যাক ফেইল সুশাসন, মুখ খোলার হিম্মত নেই নাগরিকের! কারণ প্রকাশ্য দিবালোকে এক যুবককে তুলে নিয়ে গেল সমাজদ্রোহীরা। চিনি বোঝাই গাড়ি পুলিশকে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সমাজদ্রোহীরা তুলে নিয়ে গেল সুজিত দাস নামে এক যুবককে। ঘটনা রবিবার দুপুরে বিশালগড়ের নিচের বাজার এলাকায়। ঘটনা বিশালগড়ের নিচের বাজারে।
প্রায় প্রতিদিন বিশালগড়ের নিচের বাজার থেকে গাড়ি ভর্তি করে চিনির বস্তা নিয়ে যাওয়া হয় সোনামুড়া মহকুমার সিমান্ত এলাকায়। তারপর সেই সকল চিনির বস্তা পাচার করা হয় বাংলাদেশে। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দ্রুত গামী চিনি বোঝাই গাড়ির ধাক্কায় কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। এই নিয়ে সড়ক অবরোধও করা হয়েছে। তারপর প্রশাসন লোক দেখানো অভিযান চালায়। কিন্তু তারপরও চিনি পাচার অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি একটি চিনি বোঝাই গাড়ি আটক করে পুলিশ। পাচারকারীদের সন্দেহ ভেলুয়ারচর এলাকার বাসিন্দা সুজিত দাস চিনি বোঝাই গাড়ি পুলিশকে ধরিয়ে দিয়েছে। রবিবার সুজিত দাস বিশালগড়ের নিচের বাজারে আসলে পাচারকারীরা সুজিত দাসকে আটক করে মারধর শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায় সাধারন মানুষের। সাধারন মানুষ কেন সুজিত দাসকে মারধর করা হচ্ছে তা বুঝে উঠার আগেই পাচারকারীরা সুজিত দাসকে টেনে হিঁচড়ে মারধর করতে করতে নিয়ে চলে যায়। সুজিত দাসকে পাচারকারীরা নিয়ে যাওয়ার সময় সুজিত চিৎকার করে বলে অভিযুক্তদের সন্দেহ সে চিনির গাড়ি ধরিয়ে দিয়েছে। তাই তাকে মারধর করা হচ্ছে।
দেখা নিন সুজিত দাসকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও। প্রকাশ্য দিবালোকে সুজিত দাসকে মারতে মারতে পাচারকারিরা নিয়ে গেলেও স্থানীয় কেউ বাদা দান করে নি। কারন পাচারকারীরা এতটাই প্রভাবশালি কেউ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তার উপরও পাচারকারীদের কুনজর পড়বে। তবে ভিডিও-তে অভিযুক্তদের স্পষ্ট ছবি দেখা গেছে। এখন দেখার পুলিশ নিজে থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে কিনা।