স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ সেপ্টেম্বর : একটা সময় উগ্রবাদিদের আস্ফালন রুখতে নিয়োগ করা হয় এসপিও জওয়ান। রাজ্যে উগ্রবাদীদের উপদ্রবের সময় গ্রামে গ্রামে এসপিও ক্যাম্প খোলা হয়। পুলিশ কর্মীদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে সেই সময় কাজ করেছিল এসপিও জওয়ানরা। বর্তমানে রাজ্যে উগ্রবাদিদের তেমন আনাগোনা নেই। স্বাভাবিক ভাবেই এসপিও জওয়ানদের গুরুত্বও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে বর্তমানে বিভিন্ন থানা গুলিতে পুলিশের সাথে মিলে কাজ করছে এসপিও জওয়ানরা। এইবার আরক্ষা প্রশাসনের নাম কালিমালিপ্ত করল দুই এসপিও জওয়ান।
প্রকাশ্য দিবালোকে দুই এসপিও জওয়ানের ধুন্ধুমার কাণ্ড। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে ধলাই জেলার গণ্ডাছড়া মহকুমার রইস্যাবাড়ি এলাকায়। প্রকাশ্য দিবালোকে এক এসপিও জওয়ানের মারে গুরুতর ভাবে আহত হয় গোবিন্দ দাস নামে অপর এক এসপিও জওয়ান। জানা যায় কর্তব্যরত অবস্থায় দুই এসপিও জওয়ান মাঝ রাস্তায় নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। সেই সময় এক এসপিও জওয়ান গোবিন্দ দাস নামে অপর এসপিও জওয়ানকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক ভাবে মারধর করতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা অভিযুক্ত এসপিও জওয়ানকে বারে বারে আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাধারন মানুষ এগিয়ে এসে অভিযুক্ত এসপিও জওয়ানকে আটক করে। একবার ভালো করে দেখা নিন দুই এসপিও জওয়ানের মারপিটের ভিডিও। দুই এসপিও জওয়ানের মারপিটের ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় বইছে বিভিন্ন মহলে। প্রশ্ন উঠছে যাদের হাতে মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব তারাই যদি প্রকাশ্য দিবালোকে নিজেদের মধ্যে মারপিটে লিপ্ত হয় তাহলে সাধারন মানুষ কোথায় যাবে। তবে আরক্ষা কর্মী নাকি গুন্ডা বাহিনী বুঝা বড় দায়। দুই আরক্ষা কর্মীর ধুন্ধুমার কাণ্ড। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মহলে। যাদের উপর নিরাপত্তার দায়িত্ব, তারাই প্রকাশ্য দিবালোকে মারপিটে মগ্ন। কোথায় আইনের শাসন প্রশ্ন জনমনে।