আগরতলা, ১০ সেপ্টেম্বর: পুজোর চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজি কোন অবস্থায় বরদাস্ত করা হবে না। এই সংক্রান্ত অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে আইনগত পদ্ধতিতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের উপর আক্রমণের ঘটনাও কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। পূর্ব থানা এলাকায় সংঘটিত সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনাতেও পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার আগরতলায় সংবাদ মাধ্যমের কাছে চাঁদাবাজি ও সাংবাদিক আক্রমণ ইস্যুতে এই কঠোর বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
উল্লেখ্য, বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে আসন্ন শারদোৎসবকে সামনে রেখে সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদার জুলুমের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় গাড়ি থামিয়ে জোরজবরদস্তি চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠে। সেই সঙ্গে গত রবিবার গভীর রাতে রাজধানীর পূর্ব থানা এলাকায় একদল দুষ্কৃতির হাতে আক্রান্ত হন কর্তব্যরত চারজন সাংবাদিক। এসকল বিষয়ে এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে গিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা। তিনি বলেন, আমি কেমন ধরণের ব্যক্তি সেটা আপনারা জানেন। আর আমাদের সরকারের মেজাজ কি সে সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। কোন অবস্থাতে চাঁদাবাজির ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। আমার কাছে খবর আসে তেলিয়ামুড়া ও কুমারঘাটে জাতীয় সড়কে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা তোলা হচ্ছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিই ঘটনায় যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার। কারণ এধরণের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গেও আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এই খবর জানার পরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি নির্দেশ দিই। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। এধরণের ঘটনা হলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। সাংবাদিক আক্রমণ কোন অবস্থায় বরদাস্ত করা হবে না। অভিযুক্তরা যে দলেরই হোক না কেন তাদের ছাড়া হবে না। এবিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডাঃ সাহা বলেন, আপনারা আগেও দেখেছেন। আর এখনও দেখছেন। বিগত সরকারের ৩৫ বছরের শাসনে রাজ্যে যে সংস্কৃতি শুরু হয়েছিল সেটা অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তাই বর্তমান সরকার চেষ্টা করছে রাজ্যের সব জায়গায় যাতে শান্তির পরিবেশ কায়েম থাকে।