স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ সেপ্টেম্বর : রাজ্যের অন্যতম বড় বাজেটে পুজো হল রাজধানীর বনেদি ক্লাব উষা বাজার স্থিত ভারত রত্ন সংঘের পূজা। গত কয়েক দশক ধরে বড় বাজেটের পুজো করে রাজ্যবাসীর কাছে আকর্ষণীয় পূজা উপহার দিতে সফল হয়েছে ভারতরত্ন সংঘ। এই বছর ভারত রত্ন সংঘ ক্লাবের দুর্গা পূজা আদৌ কি হবে। তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোয়াশা। কিছুদিন পূর্বে ভারত রত্ন সংঘের ক্লাব গৃহ প্রশাসন থেকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। কারণ জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ রয়েছে ভারতরত্ন সংঘ বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপের সাথে জড়িত।
পাশাপাশি ক্লাব গৃহটি সরকারি খাস জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছিল। এরই মধ্যে এলাকার লোকজন ছোট পরিসরে হলেও এই বছর দুর্গা পূজা করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুর্গা পূজা করার জন্য অনুমতি চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় এলাকাবাসিরা। কিন্তু প্রশাসন থেকে কোন ধরনের সাড়া মিলেনি। তাই রবিবার সকালে এলাকার লোকজন দুর্গা পূজা করার জন্য ভারত রত্ন সংঘ ক্লাবের জায়গাটি পরিষ্কার করতে যায়। কিন্তু এইদিন প্রশাসন থেকে এলাকাবাসিদের বাধা দান করা হয়। এলাকাবাসিরা জানান ভারত রত্ন সংঘ ক্লাবের দুর্গা পূজা বহু বছর ধরে চলে আসছে। এই বছর তারা ছোট পরিসরে দুর্গা পূজা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাদের দাবি প্রশাসন থেকে তাদেরকে ছোট পরিসরে পূজা করার জন্য অনুমতি প্রদান করা হোক। তারা আরো অভিযোগ তুলে বলেন, রাজ্যের বহু ক্লাব রয়েছে যেগুলি সরকারি জমির উপর আছে। সেগুলিও কেন ভাঙ্গা হয়নি? বর্তমানে ক্লাব কর্তৃপক্ষের দুই ঘন্টা জায়গা এখানে রয়েছে। তাই এই জমিতেই পূজা করতে চায় এলাকার সমস্ত মহিলা মিলে। এক মহিলা আরও অভিযোগ তুলেন, প্রশাসন সেদিন ভোর তিনটা থেকে আচমকা ক্লাব ঘর ভাঙ্গার পর তাদের ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা জিনিস চুরি হয়ে গেছে। তার মুখ্যমন্ত্রী কাছে দাবি জানান যাতে এলাকার মহিলাদের পুজো করার অনুমতি দেন। কারণ দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে এলাকায় পূজা হয়ে আসছে। এবছর পূজা না হলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। মানুষ বহু আশা নিয়ে পূজা দেখতে আসবে। যদি ফিরে যায় তাহলে সেটা ঠিক হবে না। তাই তারা বড় পরিসরে না হলেও ছোট পরিসরে পূজা করতে চায় বলে জানান। আবার কেউ কেউ এদিন অভিযোগ তুলে পূজা করতে না দিয়ে ধর্মের উপর আঘাত নামিয়ে আনা হচ্ছে। গোটা বিষয়টি এখন প্রশাসনের বিবেচনের বিষয়। এখন দেখার প্রশাসন কোন দিকে হাটে।