Saturday, March 22, 2025
বাড়িরাজ্যনাবালিকা কন্যার গোপনাঙ্গে গরম জল ঢেলে দিল এক নর পিশাচ,

নাবালিকা কন্যার গোপনাঙ্গে গরম জল ঢেলে দিল এক নর পিশাচ,

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ আগস্ট : বীভৎসতার চিত্র যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তার প্রমাণ মিলল দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুম মহকুমার মনুবাজার থানার অন্তর্গত কালিবাজার এলাকায়। নাবালিকা কন্যার গোপনাঙ্গে গরম জল ঢেলে দিল এক নর পিশাচ । পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে হায়না রুপি এই দানবকে। ঘটনা গত ২৪ জুলাই এর। মুহুরিপুর এলাকার এক অসহায় নাবালিকা কন্যা বেড়াতে আসে মনুবাজার থানার অন্তর্গত কালিবাজার এলাকায় তার আপন মাসির বাড়িতে।

। এই নাবালিকা কন্যার মাসি সুপ্রিয়া ত্রিপুরা এবং মেসো সুকান্ত ত্রিপুরা নাবালিকা কন্যাটির অসহায়ত্ব এবং তার দারিদ্রতার সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে তাকে কুকর্মের জগতে ঠেলে দেয়। সেই সময় সেখানে মাসির বাড়িতে এক নাবালকের শারীরিক নির্যাতন অসহায় ভাবে সহ্য করে এই নাবালিকা কন্যা। মাসির বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর নাবালিকা কন্যাকে পুনরায় নিয়ে আসা হয় মুহুরিপুর স্থিত তার নিজের বাড়িতে। নিজের বাড়িতে দিন কয়েক থাকার পর আবার মাসির সঙ্গে মাসির বাড়িতেই চলে আসে এই নাবালিকা কন্যা। সেখানেও মাসির ইন্ধনে দ্বিতীয়বার অন্য একটি নাবালক শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায় এই নাবালিকা কন্যার ওপর। বিয়ে দেওয়ার নাটক ঘটিয়ে এই নাবালিকা কন্যার উপর এত নির্যাতন চালায় মাসি এবং মেসো। কিন্তু দুর্ভাগ্য গত ২৪ আগস্ট এক নাবালক মাসির বাড়িতে এসে এই নাবালিকা কন্যার গলায় চেপে ধরে তার গোপনাঙ্গে গরম জল ঢেলে দেয়।

 গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে প্রথমে ভর্তি করানো হয়েছিল মুহুরিপুর হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় শান্তির বাজার স্থিত জেলা হাসপাতালে। মনু বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিষ্ণুপদ ভৌমিক জানিয়েছেন দুই নাবালককে আটক করেছে পুলিশ। মাসি সুপ্রিয়া ত্রিপুরা এবং মেসো সুকান্ত ত্রিপুরা পলাতক। আরজি কর মেডিকেল কলেজে কর্তব্যরত অবস্থায় মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে খুনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গোটা দেশে যখন চলছে বিক্ষোভ আন্দোলন, ঠিক তখনই মনুবাজার থানার অন্তর্গত কালিবাজার এলাকার এই ঘটনা বীভৎসতার আরো ভয়ংকর রূপ দেখালো। অল্প বয়সেই দুই নাবালক প্রবেশ করলো অপরাধ জগতে। কিন্তু এই দুই নাবালককে অপরাধ জগতে ফেলে দেওয়ার পেছনে যাদের মুখ্য ভূমিকা সেই মাসি আর মেসোর কঠোর শাস্তি চাইছে সভ্য সমাজ। মায়ের পরে যেখানে মাসির স্থান সেখানে মাসিক সুপ্রিয়া ত্রিপুরা কলঙ্কিনীর পাত্রী ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য