স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ মার্চ : ত্রিপুরার অর্থ নীতিতে বড় ভূমিকা নেয় মৎসচাষীরা। আগামী দিনে মৎসচাসীদের মাধ্যমেই স্বনির্ভর ত্রিপুরা তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম বার ভারত বর্ষে মৎস পালন দপ্তর করে দিয়েছে। বুধবার রবীন্দ্রভবনে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মৎস্য চাষের উপর এক দিবসীয় রাজ্য ভিত্তিক কর্মশালা ও মুখ্যমন্ত্রী নিবিড় মৎসচাষী পরিকল্পনার সূচনা করে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বায়োফ্লক ব্যবস্থা ত্রিপুরা রাজ্যে শুরু হয়েছে পুরনো সরকারের সময়। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে।
কিন্তু বায়োফ্লকের অগ্রগতি হয়নি রাজ্যে। চাইলে তৎকালীন সময়ে পুরনো সরকার বায়োফ্লকের প্রকল্প চালু করতে পারত। মৎস্য চাষীদের এর জন্য ঋণ প্রদান করতে পারত। প্রশিক্ষণ দেওয়া যেত। কিন্তু এগুলি কিছু করেনি পুরনো সরকার। বর্তমান সরকারের আমলে গত চার বছরে এইগুলি করা হচ্ছে। কারণ রাজ্যের বড় মাত্রায় মৎস্যচাষী রয়েছে। আর বায়োফ্লকের মাধ্যমে খুব কম সময়ে উপার্জন করে স্বাবলম্বী হওয়া যায় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। পুরনো সরকারের এ ধরনের মনোবৃত্তি কারণ হলো তারা ত্রিপুরাতে মানুষকে স্বাবলম্বী করতে চাইত না। এইগুলি করে রাজ্যকে বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরা রাজ্যের যত মৎস্যচাষী রয়েছে তাদের দ্বারা মাছের চাহিদা মেটানো সম্ভব। কিন্তু পুরনো সরকার তাদের রোজগারের রাস্তায় না এনে রোজগারের রাস্তা আরো কিভাবে বন্ধ করে দেওয়া যায় সেটা করেছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে রোজগারের রাস্তাগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে।
এবং রাজ্যের মাছ খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। যখন মাছ মাংস খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে তখন বুঝতে হবে মানুষের রাজ্যে রোজগার বেড়েছে। বড় রোজগার আদায় হয় বলে পৃথক দপ্তর করে তাঁকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মৎস্য জীবীদের উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সদর্থক দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে মৎস্য চাষ করার জন্য বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। আগে মিছিল , মিটিং ও চাঁদাবাজী চলত। কিন্তু তাদের উন্নয়নে কোন কাজ করেনি সরকার। এমনকি তাদের দিয়ে মারপিট করানো হত। বর্তমান সরকার তাদের মারপিটের সঙ্গে যুক্ত করে না। তাদের বায়োফ্লকের মাধ্যমে রোজগার তুলে দেয়। সহজ শর্তে যাতে ঋন পেয়ে পারেন তার জন্য ব্যবস্থা করেছে বর্তমান সরকার। রাজ্যে মাছ ও শুকনো মাছ ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৭৪৮৩। তাদের মধ্যে ৪০০০ জনকে এস সি কর্পোরেশন থেকে ঋন দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। ৪৩ জনকে পৃথক ভাবে ঋন দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। পুরনো সরকারের কাছে কোন হিসাব ছিল না। আড়তদের সংখ্যা তাদের কাছে ছিল না। বর্তমান সরকার তাদের সকলকে চিহ্নিত করে সহজ শর্তে ঋন প্রদান করেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মৎস্য চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়া যুবক যুবতীদের সম্মাননা প্রদান করেন। পরবর্তী সময় অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নীতি মৎস্যজীবী প্রকল্পের বইয়ের উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত ছিলেন মৎস্য মন্ত্রী মেভার কুমার জমাতিয়া, পশ্চিম জেলা সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।