স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ আগস্ট : কয়েকমাস পূর্বে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে আগরতলা পুর নিগমের ৫ নং ওয়ার্ডের কর্পোরেটর লতা নাথের নাম। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে লতা নাথের আপত্তিকর ছবি। সে যাই হোক। এইবার ফের একবার সংবাদের শিরোনামে উঠে আসল লতা নাথের নাম। এইবার এক নাবালিকাকে হত্যার চেষ্টার গুরুতর অভিযোগ উঠল লতা নাথের বিরুদ্ধে। আহত নাবালিকা বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুশাসন জামানায় রাষ্ট্রবাদী দলের নারী নেত্রীর এ ধরনের দুঃশাসনের অভিযোগ সামনে উঠে আসতেই তিনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জন্য উঠে পড়ে লাগে। তিনি বলেন, সেই ছাত্রীর বাবা নাকি এলাকার ড্রাগস মাফিয়া।
এলাকাকে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে দূষিত করে তুলেছে। দিনরাত ঘরের মধ্যে বহিরাগত যুবকদের আড্ডা চলে। তার বাবার নেতৃত্বে নাকি এলাকায় শাখা প্রশাখাও গজিয়ে উঠেছে। এলাকার মহিলারা তার কাছে চিঠি দিয়ে দাবী করেছেন ছাত্রীর পরিবারকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য। কিন্তু প্রশ্ন হলো উচ্ছেদ করার জন্য কাউন্সিলর কে? একজন জনপ্রতিনিধিকে দেশের সংবিধান এতটা অধিকার দেয়নি একজন মানুষকে কিংবা একটি পরিবারকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার। অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি সত্যিই এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের সাথে যুক্ত থাকে তাহলে তার জন্য রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশের হাতে সেই ব্যক্তিকে তুলে দিয়ে কঠোর শাস্তি দাবি করতে পারেন।
কারণ বেআইনি কার্যকলাপ কোনোভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু তা না করে কেন একজন কাউন্সিলর হয়ে এলাকায় মাতব্বরী শুরু করেছেন, এই প্রশ্ন স্থানীয়দের মধ্যে। এবং যাদের নিয়ে তিনি বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন তারা চিৎকার করে বলছিলেন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ৯৯ শতাংশ মিথ্যা। তাহলে এক শতাংশ সত্যি সেটা প্রমাণিত কাউন্সিলারের সঙ্গে থাকা মহিলাদের মুখে। সুতরাং, একজন নারী হয়ে আরেকজন নারীকে রাস্তায় এভাবে প্রানে মারা চেষ্টা কিভাবে করলেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন? যাইহোক বাকীটা তদন্ত সাপেক্ষ। এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় জিবি হাসপাতালে ছুটে যান ৬ আগরতলা মহিলা ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল ছুটে যান। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন ৬ আগরতলা ব্লক কংগ্রেসের সভানেত্রী সুজাতা দেববর্মা। তিনি ঘটনা তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ ধরনের ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। অবিলম্বে প্রশাসন যদি লতা নাথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে মহিলা কংগ্রেস। এখন দেখার বিষয় তদন্তে কি বের হয়ে আসে। তবে কাউন্সিলের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগে অত্যন্ত নিন্দার ঝড় বইছে ৫ নং ওয়ার্ডে।