স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ আগস্ট : স্ত্রীর হাতে নির্যাতিত স্বামীর দেহ উদ্ধার হল বুধবার। ঘটনা মুঙ্গিয়াকামী থানাধীন তুইকই পাড়া এলাকায়। বর্তমানে ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, মুঙ্গিয়াকামী থানাধীন তুইকই পাড়ার বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী লকেশ দেববর্মার ঝুলন্ত মৃতদেহ এদিন তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। এ ব্যাপারে মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনেরা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ করেন যে, মঙ্গলবার রাতে তারা খবর পায় যে লকেশ দেববর্মা তুইকই এলাকায় ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে।
পরবর্তী সময় প্রত্যন্ত এলাকার হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে পরিবারের লোকজনেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে বুধবার সকালে পরিবারের লোকজনেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের সহযোগিতায় মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই লকেশ বাবুর সঙ্গে তার স্ত্রী সত্যলক্ষী দেববর্মার পারিবারিক কলহ চলছিল। এই কলহের জেরে বেশ কয়েকদিন পূর্বে সত্যলক্ষী দেববর্মা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজ স্বামী লকেশ দেববর্মার উপর আক্রমণ করে এবং পায়ে গুরুতর আঘাত করে। পরিবারের লোকজনদের আরো অভিযোগ, লকেশ বাবুর স্ত্রী সত্যলক্ষী দেববর্মা পরকীয়া সম্পর্কের জেরে একবার নাগরের হাত ধরে পালিয়ে গিয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে পরিবারের লোকজনদের সহযোগিতায় ঘটনাকে মিমাংসার মধ্য দিয়ে পুনরায় উভয়েই সাংসারিক জীবন স্বাভাবিকভাবে শুরু করেছিল, কিন্তু পারিবারিক কলহ এবং স্ত্রীর নির্যাতন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছিল লকেশ দেববর্মার। পরবর্তীতে আচমকা লকেশ বাবুর এই ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার’কে ঘিরে পরিবারের লোকজনদের মধ্যে থেকে সন্দেহ প্রকাশ করছে হয়তো লকেশ বাবুকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর পুলিশ হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্ত স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবে বলে জানায় পরিবারের লোকজনেরা।