Friday, December 27, 2024
বাড়িরাজ্যলাটে উঠেছে বিশালগড় ঘনিয়ামারা তহশীল কাছারির পরিষেবা, ঝুলছে তালা

লাটে উঠেছে বিশালগড় ঘনিয়ামারা তহশীল কাছারির পরিষেবা, ঝুলছে তালা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ জুলাই : সরকারি দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন বিশালগড়ে। মর্জি মতোই খোলা হচ্ছে অফিস, ইচ্ছা না হলে পুরো অফিস বন্ধ। এখানে বিশালগড়ের শুধুমাত্র একটি অফিসের কথা তুলে ধরা হলো। বিশালগড় শহর থেকে সামান্য দূরে বিশালগড় বক্সনগর মূল সড়কের পাশেই রয়েছে ঘনিয়ামারা তহশীল কাছারি।

বেশ কিছুদিন ধরেই তহশিলদার এর ইচ্ছা হলে অফিসের তালা খোলেন নয়তোবা পুরো অফিস বন্ধ থাকে। মূল সড়কের পাশে অফিসটি থাকায় নিত্যদিন যাতায়াতের সময় শত শত মানুষ দেখতে পান বেশিরভাগ সময় ই তহশীল টি বন্ধ থাকে। কড়ই মোড়া, তেবাড়িয়া, নোয়াপাড়া, রতনগর, প্রভুরামপুর, লস্কর চৌমুহনী, ঘনিয়া মারা, অরবিন্দ নগর, পুরাথল, গজারিয়া চেলিখলা, দুর্গানগর, শিবনগর কে.কে নগর প্রভৃতি বিশাল এলাকা জুড়ে সমগ্র মানুষ এই তহশীলটিতে নিত্যদিন কোন না কোন কাজে আসতে হয়। বিশেষ করে এই সমস্ত এলাকার ছাত্র-ছাত্রী সহ অন্যান্যরা ইনকাম সার্টিফিকেটের জন্য তহশীল ভেরিফিকেশন করার জন্য এখানে এসে ফিরে যেতে হয়।

সাধারণ জনগণের অভিযোগ শুনে সাংবাদিকরা মঙ্গলবার দুপুরে ছুটে যায় এই তহশীল অফিসে। গিয়ে দেখা যায় অফিস গড়ের সবগুলি দরজায় তালা ঝুলছে। অফিসটি বন্ধ কেন তা জানতে বিশালগড় মহকুমা শাসক অফিসে ছুটে গেলে সেখানে কর্মরত ডিসিএম এবং মহকুমা শাসক প্রথমে বলেন নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকায় আজ হয়তো বন্ধ আছে। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হল, নির্বাচনে কাজে একজন তহশীলদের নিযুক্তি থাকলে পুরো তহশীল অফিস বন্ধ থাকবে এটা কি করে সম্ভব। তবে একথা সত্য প্রয়োজনের তুলনায় বিশালগড়ের প্রতিটি তহশীল কাচারীতে কর্মী নেই। একজন করে তহশীলদার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কোন তহশীলদার যদি বিশেষ কাজে চলে যায় কিংবা ছুটিতে যায় তাহলে সেই অফিসটি পুরো বন্ধ হয়ে পড়ে। এটাই কি সরকারি অফিসার কর্মসংস্কৃতি! তবে তহশীলদার না থাকলেও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী কিংবা অন্য কর্মীরা নূন্যতম অফিসটি খোলা রাখতে পারতেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় একের পর এক অফিস বন্ধ থাকলেও তাদের হাজিরার খাতায় নাকি প্রতিদিন উপস্থিতির জায়গা পাক্কা থাকে। তবে ঘটনা যাই হোক সাধারণ মানুষ চাইছেন সরকারি পরিষেবা। এর নাম যদি হয় সরকারি পরিষেবা তাহলে বিশালবাসীর দুর্দশা ছাড়া আর কি বলা যায়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য