Saturday, September 7, 2024
বাড়িরাজ্যগন্ডাছড়ার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য দায়ী সরকার, তাই বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের সেখানে যেতে...

গন্ডাছড়ার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য দায়ী সরকার, তাই বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের সেখানে যেতে বাধা দিয়েছে : জিতেন্দ্র

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ জুলাই : রাজ্যে জন বিরোধী কার্যকলাপ, মানুষের অধিকারকে পদদলিত করা এবং নাগরিক অধিকার সেটা সম্পূর্ণভাবে অবহেলা করা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে তা সারা রাজ্যের মানুষ প্রতিদিন প্রত্যক্ষ করছে। এতে রাজ্যের মানুষ নাজেহাল হচ্ছেন। গন্ডাছড়া প্রসঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় সিপিআইএম রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা বলেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী।

 তিনি বলেন, সোমবার তিনি নিজে এবং প্রাক্তন বিধায়ক সুধন দাস, প্রাক্তন মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া, বিধায়ক রামু সহ কয়েকজনের একটি প্রতিনিধি দল গন্ডাছড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। কারণ গন্ডাছড়ায় গত ১২ জুলাই থেকে দুঃশাসন চলছে সরকার এবং প্রশাসনের যোগ সাজানে। সেখানে শাসক দলের নেতৃত্বেই চলছে নৈরাজ্য। এবং এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে আনন্দ মেলা ঘিরে। মৃত্যু হয়েছিল পরমেশ্বর রিয়াং নামে এক যুবকের। পরে ১২ এবং ১৩ জুলাই সেখানে তান্ডব লীলা চলেছে। শতাধিক পরিবারের জীবন জীবিকার উপর নেমে আসে আঘাত। তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে রাজ্যে প্রধান বিরোধীদল সিপিআইএম। বলেন তিনি বলেন জেলা শাসক সাজু ওহাদীর সঙ্গে রবিবার কথা হয়েছিল। জেলা শাসকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল গন্ডাছড়ায় যেতে পারবে কিনা, জেলাশাসক বলেছিলেন অবশ্যই যেতে পারবে সোমবার।

 তারপর সাথে সাথে মুখ্য সচিব, জেলা পুলিশ সুপার, থানার ওসি থেকে শুরু করে সকলের কাছে মেসেজ পাঠিয়ে জানানো হয়েছিল আজ গন্ডাছড়ায় তিনি এবং তাঁর প্রতিনিধি দল যাবেন। রাতের বেলা নয়টার সময় জেলা শাসক আবার ফোন করে কোন রাস্তা দিয়ে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী যাবেন সে বিষয়টা নিশ্চিত হন। যথারীতি সংবাদ সকাল সাড়ে সাতটায় রওনা হওয়ার সময় জিতেন্দ্র চৌধুরী খবর পাঠানো হয় গন্ডাছড়ায় যাতে সিকিউরিটি পর্যন্ত না যায়। তারপর আমবাসা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিনিধি দলকে আটকে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জেলা শাসকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে গতকাল কি কোন কিছু হয়েছে কিনা? তিনি জানিয়েছেন না হয়নি। তাহলে কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে? সে বিষয় নিয়ে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি জেলা শাসকের কাছ থেকে। তারপর তিনি বলেন ফোন করে পরবর্তী সময় জানাবেন। এতে বুঝা গেছে তিনি কোন চাপে রয়েছে। কিছুক্ষণ পর জেলা পুলিশ সুপার ফোন করে জানিয়ে দেন ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে, সেখানে যাওয়া যাবে না। তারপর উনাকে বলা হয়েছে যদি আইন লঙ্গন না হয় তাহলে কেন যেতে দেওয়া হবে না? তারপর তিনি ফোন করে জানাবেন বলে ফোন কেটে দেন। তারপর দাঙ্গাবাড়ী এলাকায় দেখেন বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখানে আবার পুলিশ বাধা দেয়। এর জন্য দায়ী এই সরকার এবং এ সরকারের পুলিশের ডিজি। কারণ এই সরকারের পুলিশ ও ডিজির পুলিশ কাঠ পুতুল হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সামনে সময় দাঁড়িয়ে থাকছে। শাসক দলের হাতে মার খাচ্ছে। আর এই পুলিশ দিয়ে বিধানসভার সদস্যদের রাস্তা আটকে দিচ্ছে। তাই এ রাজ্যের নাগরিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত, জনপ্রতিনিধিদের অধিকারও ভূলুণ্ঠিত। এ সরকার বাড়ছে তারা যা করবে সেটাই আইন। একটা অরাজকতা, বর্বরতা, মৌলিক অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ এবং সংবিধানের উপর বলাৎকার চলছে। তিনি আরো বলেন, এ সরকার ভালো করেই জানে যদি সেখানে বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা যায় তাহলে সেখানে এ সরকারের ব্যর্থতা জনগণের সামনে উঠে আসবে। তাই তারা যেতে দেয়নি বলে জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন প্রাক্তন বিধায়ক সুধন দাস, প্রাক্তন মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া সহ অন্যান্য উপস্থিত ছিলেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য