স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ জুলাই : মূল্যের ফারাক নেই, অসাধু ব্যবসায়ীদের খুশি রেখে তাদের মর্জি মাফিক মহারাজগঞ্জ বাজার সহ পাঁচটি রেশন শপে খোলা হলো নাটকীয় আলু পেঁয়াজের কাউন্টার। আর এই চড়া মূল্যকে বাহাবা করছে খাদ্য, জনসংভরন ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের আধিকারিকরা। উল্লেখ্য বর্ষার মরশুম শুরু হওয়ার পর থেকে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রেখেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে বাজারে গিয়ে লোক দেখানো অভিযান করছে সদর মহকুমা প্রশাসনের এন্সেসমেন্ট টিম।
কিন্তু তারপরও বাজারে আলো পেঁয়াজের মূল্য কমে নি। পাল্লা দিয়ে অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য বেড়েছে। দ্রব্যমূল্য এতটাই আকাশ ছোঁয়া যে তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। সারা রাজ্যের সাথে আগরতলা শহরের বিভিন্ন বাজার গুলোতে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ – ৪৫ টাকা কেজি দরে। আর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ – ৫০ টাকা কেজি দরে। শহরের অদূরে বাজারগুলোতে আলু পেঁয়াজের মূল্য আরো অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী। বাজারগুলোতে কাঁচা লঙ্কা কিনতে গিয়েও লঙ্কার ঝাঁঝ লেগে যায় ক্রেতাদের চোখে। অবশেষে মহারাজগঞ্জ বাজার পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতি আলু পেঁয়াজের এই আকাশ ছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধিকে মাথায় রেখে মহারাজগঞ্জ বাজার পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সহ আগরতলার চারটি রেশন সপে আলু পেঁয়াজের কাউন্টার খোলা হয়।
আর এর উদ্যোক্তা মহারাজগঞ্জ বাজার পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতি। এই আলু পেঁয়াজের কাউন্টারের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন সদর মহকুমা শাসক মানিক লাল দাস। মহারাজগঞ্জ বাজার পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বাহবা দিয়ে দিলেন পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতিকে। তিনি জানিয়েছেন প্রতি কেজি আলু ৩৩ টাকা এবং প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে ৪২ টাকা দরে। যতদিন পর্যন্ত আলু পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে না আসবে ততদিন পর্যন্ত খোলা থাকবে এই কাউন্টার। মহারাজগঞ্জ বাজার স্থিত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার সকালে কাউন্টার খোলার পর হাসির খোরাক হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। কারণ যেখানে তাদের মূল্য হ্রাস করার কথা সেখানে তারা এ ধরনের কাউন্টার খুলে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। যদিও ব্যতিক্রম হয়নি বিগত বছরগুলি থেকে। বিগত বছরগুলতেও রেশন শপের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। সুতরাং বরাবরই বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে ব্যর্থ প্রশাসন। মানুষের স্বার্থে কাজ করতে না পারলেও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করতে দুর্ঘটনা দপ্তর।