স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ জুলাই : সদর মহকুমা শাসকের কাছ থেকে ক্লাব ঘর উচ্ছেদের নোটিশ পাওয়ার পর সংবাদ শিরোনামে আবারও উঠে এসেছে উষা বাজার স্থিত ভারতরত্ন সংঘ ক্লাব। মাত্র তিন মাস আগে ক্লাবের সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন দেব তথা ভিকি খুনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ তদন্তে নেমে বহু ক্লু পায়। যেগুলি সরাসরি জনসম্মুখে আনতে চাইছে না পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু এরই মধ্যে সোমবার সদর মহকুমা শাসকের স্বাক্ষর মূলে ভারতরত্ন সংঘ ক্লাবকে নোটিশ জারি করা হয়।
সেই নোটিশে বলা হয় ভারতরত্ন সংঘের ক্লাব ঘর অর্থাৎ ক্লাব গৃহ খাস জমিতে রয়েছে। অবিলম্বে উচ্ছেদ করার জন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নোটিশ ধরিয়ে দেয় প্রশাসন। এ বিষয়ে পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা শাসক ডঃ বিশাল কুমারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ষ্পষ্ট জানিয়ে দেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ভারত রত্ন সংঘ ক্লাবের যে জমি রয়েছে সেই জমির বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়। তদন্তের পর দেখা গেছে খাস জমিতে ভারত রত্ন সংঘ ক্লাবের অফিস গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। তাই নিয়ম মেনে ভারত রত্ন সংঘ ক্লাবকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে ৭ দিনের মধ্যে খাস জমি খালি করার জন্য। এছাড়াও সম্প্রতি ভারত রত্ন সংঘ ক্লাব এলাকায় বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে এই সকল ঘটনার সাথে ভারত রত্ন সংঘ ক্লাব জড়িত রয়েছে। তবে ভারতরত্ন সংঘ ক্লাবের পক্ষ থেকে বিগত জেনে পরোক্ষভাবে বিভিন্ন অভিযোগ সামনে এসেছে। কিন্তু দাপটে একটি ক্লাব হওয়ায় এতদিন কেউ মুখ খোলার সাহস পায়নি।
কিন্তু এবার সরাসরি জেলা শাসক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। আর এই বিস্ফোরক মন্তব্যের সাথে তিনি স্পষ্ট এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যদি সাত দিনের মধ্যে ক্লাব ঘরটি উচ্ছেদ করা না হয় তাহলে কঠোর থেকে কঠোরতম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে প্রশাসন। কারণ আগেও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষকে। এদিকে ক্লাব সূত্রে খবর গতকাল হাতের নোটিশ পেয়ে ক্লাবে অভ্যন্তরে বেশ কয়েক দফায় বৈঠক হয়েছে। মধুসূদন পাল নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘ ৬৭ বছর আগে ক্লাবের জন্য জমি দান করেছিলেন। বর্তমানে কাজল সাহার নামে দখলদারি রয়েছে। তারা রেজিস্টার ভুক্ত হয়েছে ৪০ বছর আগে। ক্লাব ঘরটি যে জমিতে রয়েছে সেটা হল জোট-জমি। বর্তমানে ক্লাবের মধ্যে গড়ে উঠেছে জিম সেন্টার, বনেদি পার্ক থেকে আরো অনেক কিছু। জানা যায়, এলাকায় ১০ থেকে ১২ হাজার লোকের বসবাস রয়েছে। ইতিমধ্যে ক্লাব কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিষয়টি নিয়ে যাতে বহুদূর জল না গড়ায় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ হবে। আইনের ঊর্ধ্বে উঠে মুখ্যমন্ত্রী তাদের আবেদনের কতটা সহানুভূতিশীল হবেন সেটা বলা কঠিন। তবে বলার অপেক্ষা রাখে না ভারতরত্ন ক্লাব ঘিরে এলাকায় চলে অনেক কিছু। সবশেষে বলা চলে আইনের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী নয়। তাই হয়তো মনগড়া দাবি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মনে পড়ছে সচেতন নাগরিক। দুর্গাপূজার আগে ক্লাবের হর্তাকর্তারা নোটিশ পেয়ে চাপের পড়ে এক প্রকার ভাবে ঘুম উড়ে গেছে বলা চলে।