Thursday, March 20, 2025
বাড়িরাজ্যশূন্যপদ পূরণ এবং নেশা বন্ধের দাবিতে রাস্তায় নামবে বাম যুব সংগঠন

শূন্যপদ পূরণ এবং নেশা বন্ধের দাবিতে রাস্তায় নামবে বাম যুব সংগঠন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ জুলাই : ১০০ তে শূন্য পাওয়া দপ্তর গুলির দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর গুলি নিয়ে বসে আছেন। কিন্তু প্রত্যেকটি দপ্তরে ফেল করেছে তিনি। বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরে মুখ থুবড়ে পড়েছে। চুরি ছিনতাই এর মত ঘটনা এখন পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সামনে পর্যন্ত সংগঠিত হচ্ছে। মঙ্গলবার মেলারমাঠ স্থিত ছাত্র-যুব ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই দুই সপ্তাহ ব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক নবারুন দেব। সাথে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি পলাশ ভৌমিক সহ অন্যান্যরা।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বিধানসভায় এক বিধায়কের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য সরকার বলেছিল বেকারের সংখ্যা তৎকালীন সময়ে ৩৫,৫৩৯ জন। গত ছয় বছরে প্রায় ২৭ হাজার সরকারি কর্মচারী অবসরে গেছেন। বর্তমানে তাহলে শূন্য পদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২,৫৩৯ জন। এরমধ্যে ১২-১৩ হাজারের বেশি নিয়োগ হয়নি। তাহলে কিভাবে মানুষ শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা পাবে প্রশ্ন তোলেন ডিআইএফআই রাজ্য সম্পাদক। তিনি বলেন, বেকারদের নিয়োগের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে এ সরকার। এবং এ সরকার বেকারদের সাথে প্রতারণার খেলায় নেমেছে।

নিয়োগের নামে পকেট কেটে বেকারদের কাছ থেকে পয়সা নেওয়ার রাস্তা তৈরি করে ফাঁদ পেতেছে। একটি বড় নিন্দা জানিয়ে সরকারের কাছে দাবি করা হচ্ছে সরকার যাতে এ ধরনের পথ প্রত্যাহার করে। শূন্যপদ দ্রুত পূরণ করার জন্য দাবি জানিয়ে রাস্তায় নামবে বলে জানান নবারুণ দেব। তিনি আরও বলেন কাজ না দিয়ে রাজ্যের যুব সমাজকে নেশার কড়াল গ্রাসে ডুবিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডাবল ইঞ্জিনের সরকার পরিকল্পনা করে শিক্ষাকে ধংস করা হচ্ছে। একই অবস্থা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দীর্ঘ দিন ধরে প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীর নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ। রাজ্যের মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। একই অবস্থা বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রকে বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে। ফলে বিদ্যুৎ পরিষেবার বেহাল চিত্র দেখা যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বছরে নিয়ম করে একবার টেট পরীক্ষা নিতে হয়। ২০১৮ সালে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৬ বার টেট পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু দেখা গেছে মাত্র তিনবার টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আরো উদ্বেগ জনকভাবে লক্ষ্য করা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রী প্রায় পঞ্চাশ বার সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছে বিভিন্ন স্কুলের জন্য পি আই নিয়োগ করা হবে।

 কিন্তু এখন পর্যন্ত পাঁচজনও পি আই নিয়োগ হয়নি। আরো বলেন, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৭৭৫ জন ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ হয়েছিল। তারপর থেকে বিভিন্ন দপ্তরে ইঞ্জিনিয়ার বেকারের সংখ্যা বাড়লেও নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে আছে। শূন্য পদ তৈরি হলো সরকার নিয়োগের কোন উদ্যোগ নেই। সুতরাং কর্মসংস্থানের পাশাপাশি রাজ্যে বিভিন্ন দপ্তর মুখ থুবড়ে পড়ছে। অপরদিকে বিভিন্ন থানায় এক্সিকিউটিভ নিয়োগের জন্য আবেদন জমা হলেও, এক্সিকিউটিভ নিয়োগ বন্ধ হয়ে আছে। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে আছে জেআরবিটি -র মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া। বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া কবে হবে তা জানতে চায় ডি.ওয়াই.এফ.আই। এর পাশাপাশি বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বেকারদের পকেটের টাকা খরচ করে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চাকুরীর জন্য আবেদন করলে পরবর্তী সময়ে গোপনে একটি নোটিশ জারি করে সে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিচ্ছে সরকার। আরো তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন বিধানসভা মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়ে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে চাইছে সরকার। ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের পক্ষ থেকে কাজের দাবিতে নেশার বিরুদ্ধে সমগ্র রাজ্য জুড়ে মঙ্গলবার থেকে দুই সপ্তাহ ব্যাপী নানান কর্মসূচি পালন করা হবে। মঙ্গলবার কৈলাশহরে কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শুরু হবে এই দুই সপ্তাহ ব্যাপী কর্মসূচি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য