স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ জুন : নির্বাচন আসলেই নাটক মঞ্চস্থ শুরু হয় তিপ্রা মথার। বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে একের পর নাটক মঞ্চস্থ করে তিপ্রা মথা। বিধানসভা নির্বাচনের পর দলের বিধায়করা প্রথমে বিরোধী বেঞ্চে বসলেও পরবর্তী সময় সরকারে সামিল হয়। কেন্দ্র রাজ্য ও তিপ্রা মথার মধ্যে ত্রি-পাক্ষিক চুক্তিও হয়। তারপর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সাথে জোট বদ্ধ হয়।
তিপ্রা মথা দলের সুপ্রিমো নিজের বোনকে সুকৌশলে বিজেপি দলের টিকিটে নির্বাচনে দাড় করিয়ে দেন। যথারীতি তিনি জয়ীও হন। তারপর বেশ কিছুদিন চুপচাপ ছিলেন তিপ্রা মথা সুপ্রিমো। কারন নিজের স্বার্থ সিদ্ধি হয়ে গেছে। অবশেষে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসার সাথে সাথে ফের একবার নাটক মঞ্চস্থ শুরু করলেন তিপ্রা মথা সুপ্রিমো। ইতিমধ্যে তিনি সামাজিক মাধ্যমে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে একক ভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মণ সামাজিক মাধ্যমে এই বার্তা দেওয়ার পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে নতুন করে চুল চেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে। এই বিষয়ে তিপ্রা মথা দলের নেতা বিজয় রাঙ্খলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান দেখা যাচ্ছে রাজ্য সরকার নেগেটিভ ভাবে চলাফেরা করছে। ত্রিপাক্ষিক চুক্তি মোতাবেক রাজ্য সরকার কাজ করছে না। রাজ্য সরকারের ভুমিকায় তিপ্রা মথা খুশি নয়। তাই তিপ্রা মথা দল পঞ্চায়েত নির্বাচনে একক ভাবে লড়াই করার জন্য প্রস্তুতি। প্রতিবার নির্বাচন আসলে তিপ্রা মথা দলের সুপ্রিমোর নাটক মঞ্চস্থ শুরু হয়ে যায়। যদিও সেই নাটকের পিছনে থাকে কোন না কোন উদ্দেশ্যে। স্বাভাবিক ভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মণের সামাজিক মাধ্যমে বার্তার পিছনে কি উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। একাংশ রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে হয়তো পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিপ্রা মথা প্রার্থী দাড় করিয়ে বিজেপির প্রার্থীদের জয়ের রাস্তা মসৃণ করে দিতে পারে। আর তার জন্য দলের সুপ্রিমো দলের কর্মীদের একক ভাবে নিবাচনে লড়াই করার জন্য প্রস্তুতি নিতে বার্তা দিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের নেতৃত্ব মেবার কুমার জমাতিয়া।