স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ জুন। চৈত্র মাসের সাত দিনের টুয়েপের মজুরি মিলল না রিংকু পালের ভাগ্যে। কোন এক অজ্ঞাতভাবে গায়েব হয়ে গেল সেই মজুরির টাকা। বিশালগড় পৌর পরিষদের অন্তর্গত ৭ নং ওয়ার্ড অফিস থেকে শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি। কারণ এর পেছনে শুধু রহস্যে ভরা। কান পাতলে শোনা যায় গিলে খেয়েছে এলাকার নেতা থেকে শুরু করে অনেকে। মহিলার অভিযোগ তিনি গত চৈত্র মাসে ১৪ দিন টুয়েপের কাজ করেছে। মাস শেষে দেখতে পায় মাত্র সাত দিনের মজুরি ব্যাংক একাউন্টে ঢুকেছে। বাকি টাকা কি হয়েছে সেটা বুঝে উঠতে না পেরে সাথে সাথে ওয়ার্ড অফিসে ছুটে যায় বিশালগড় অফিস টিলা এলাকার বাসিন্দা রিঙ্কু পাল। সেখানে যাওয়ার পর ওয়ার্ড অফিসে অফিসার তাকে বলে একাউন্ট বই আপটুডেট করার জন্য। সাথে সাথে আপটুডেট করে আনার পর দেখেন একাউন্টে টাকা নেই সাত দিনের। তারপর ওয়ার্ড অফিসে গিয়ে আবারো অভিযোগ জানালে তারা বলেন হয়তো বইটি আপ টু ডেট হয়নি সঠিকভাবে। ব্যাংক একাউন্টের বইটি রেখে আসার জন্য। যথারীতি বইটি রেখে আসার পর পরবর্তী সময় রিঙ্কুকে জানানো হয় ঠিকই, ব্যাংক একাউন্টে সাত দিনের মজুরি ঢুকে নি। তারপর তাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল পরবর্তী সময় যখন আবার টুয়েপের কাজ আসবে তখন সে টাকা ব্যাংক একাউন্টে দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু ২ মাস হতে চলেছে এখন পর্যন্ত সাত দিনের টুয়েপ মজুরি ব্যাংক একাউন্টে ঢুকেনি। এখনো ওয়ার্ড অফিসের দরজায় গিয়ে প্রতিদিন কড়া নাড়ছে রিংকু, কিন্তু কোন আশ্বাস মিলছে না। শেষ পর্যন্ত সংবাদ মাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে তিনি এ বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে সরকারি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিশালগড় পুর পরিষদের ভূমিকা নিয়ে। কারণ দুমাস হতে চলেছে একজন অসহায় শ্রমিকের মজুরি কিভাবে উধাও হয়েছে সেটাই বের করতে পারল না! এ ধরনের ঘটনা অসহায় শ্রমিকদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া ছাড়া আর কিছু না।