স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ জুন : নেশায় আসক্ত ছেলেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পায়ে শিকল দিয়ে ঘরে বেধে রাখল পরিবারের লোকজন। ঘটনা বিশালগড়ের মুড়াবাড়ি এলাকায়। এলাকার বাসিন্দা সাগর নমঃ। এক সময় সাগর রং মিস্ত্রির কাজ করত। রং মিস্ত্রির কাজ করার সময় সে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। তারপর সে রং মিস্ত্রির কাজ ছেরে দিয়ে গাড়ি চালানো শুরু করে।
এরই মধ্যে সাগর ড্রাগসের নেশায় আসক্ত হয়ে এক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে পড়ে। সাগর ও ঐ মহিলা একসাথে ড্রাগস সেবন করে বলে অভিযোগ। একটা সময় সাগর নিজ বাড়ি ত্যাগ করে ঐ মহিলাকে নিয়ে অন্যত্র ভাড়া থাকতে শুরু করে। কিন্তু তাদেরকে ভাড়া বাড়ি ছারতে বাধ্য করে এলাকার লোকজন। তারপর ঐ মহিলাকে নিয়ে সাগর নিজ বাড়িতে উঠে। কিন্তু বাড়ির কেউ ঐ মহিলাকে সাগরের স্ত্রী হিসাবে মানতে নারাজ। সাগরের মায়ের বক্তব্য তারা ঐ মহিলাকে সামাজিক ভাবে সাগরকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু বিয়ের কথা বললে মহিলা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। মহিলা সামাজিক ভাবে সাগরকে বিয়ে করতে রাজি নয়। প্রায় দিন সন্ধ্যার সময় ঐ মহিলা সাগরকে বাড়িতে রেখে আগরতলার বটতলা চলে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে সাগর ঐ মহিলাকে নিয়ে তার কাগজ পত্র সহ বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন সাগরের পরিবারের লোকজন সাগরের পায়ে শিকল বেধে সাগরকে ঘরে বেধে রাখে। সাগরের মা নিজের স্বীকার করেন তারা ছেলেকে বেধে রেখেছেন। কারন সাগর ড্রাগস সেবন করে। এইদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বিশালগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এবং সাগরকে মুক্ত করে দেয়।