Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যকবির মূর্তি ভেঙ্গে দিল দুষ্কৃতিকারীরা

কবির মূর্তি ভেঙ্গে দিল দুষ্কৃতিকারীরা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ জুন : লোকসভা ভোটের গননার পর রাতের অন্ধকারে প্রয়াত কবির আবক্ষ মূর্তি ভাঙচুর করায় শহর জুড়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনা কৈলাসহর পুর পরিষদের ছয় নং ওয়ার্ডের কাজিরগাঁও এলাকায়। এই ঘটনায় কবি সাহিত্যিক সহ শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের মধ্যেও সমালোচনার ঝড় বইছে।

অভিযোগ, প্রয়াত কবি হিমাদ্রী নন্দন দেবের মৃত্যুর কয়েক বছর পূর্বে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুকান্ত স্মৃতি পুরুস্কারে পুরুস্কৃত করা হয়েছিলো হিমাদ্রী নন্দন দেবকে। প্রয়াত কবি হিমাদ্রী নন্দন দেব কৈলাসহর তথা ত্রিপুরা রাজ্যের সাহিত্য জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। কবির এই আবক্ষ মূর্তি বুধবার গভীর রাতে দুষ্কৃতিকারীরা ভেঙ্গে দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে আবক্ষ মূর্তির ভগ্নরুপ দেখে এলাকাবাসীরা হতবাক হয়ে যান। এই খবর সামাজিক মাধ্যমে চাউর হতেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তের কবি সাহিত্যিকরা আবক্ষ মূর্তির পাদদেশে এসে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন। এব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলার তথা কৈলাসহর পুর পরিসদের ছয় নং ওয়ার্ডের পুর পরিসদের সদস্য মোহিত লাল ধর ভগ্ন আবক্ষ মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি দাবি করেন, খুব শীঘ্রই এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তি প্রদান করতে হবে।

 প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই প্রয়াত কবি হিমাদ্রী নন্দন দেবের আবক্ষ মূর্তি নতুন করে তৈরী করে প্রতিস্থাপন করতে হবে। জানা যায়, উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে কবি ছিলেন হিমাদ্রী নন্দন দেব। কৈলাসহর শহরের কাজিরগাঁও এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন প্রয়াত কবি হিমাদ্রী নন্দন দেব। বার্ধক্যজনিত কারনে ২০১০ সালের পয়লা এপ্রিল কবি হিমাদ্রী নন্দন দেব মারা যান। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় যুব সমাজ ক্লাবের উদ্যোগে কাজিরগাঁও এলাকার ট্রাই জংশনে ২০১০ সালের ১৫ অক্টোবর প্রয়াত কবি হিমাদ্রী নন্দন দেবের আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করেছিলেন। তারপর থেকে প্রতি বছর ১ এপ্রিল কাজিরগাঁও এলাকায় আবক্ষ মূর্তির পাদদেশে প্রয়াত কবির মৃত্যু দিবস পালিত হয়ে আসছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য