স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ মে : রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা থেকে রোগী রেফার করার ফলে রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবি হাসপাতালের উপর চাপ বাড়ছে। তাই সরকার চেষ্টা করছে যাতে জিবি হাসপাতালে উপর থেকে চাপ কমানোর যায় তার জন্য মহকুমা ও জেলা হাসপাতালগুলির মান উন্নয়ন করার। শুক্রবার টেরেসা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ২৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রক্তদান শিবিরে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।
টেরেসা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মুখ্যমন্ত্রী প্রদীপ প্রজ্বলন করে আয়োজিত রক্তদান শিবিরের শুভ উদ্বোধন করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানব দেহে ৮ টি গ্রুপের রক্ত থাকে। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত মজুত থাকলে চিকিৎসকদের অনেকটা সুবিধা হয়। রক্তদান মানে জিবন দান। তাই রক্তদানের চাইতে বড় দান আর কোন কিছু নেই। রক্তের কোন বিকল্প নেই। জাতপাত, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এক। রক্তদানের মধ্যদিয়ে তা বুঝা যায় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যে ১২ টি সরকারি ও ২ টি বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে। এক ইউনিট ব্লাড দিয়ে চার জন্য মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। সেই সুবিধা বর্তমানে রাজ্যে রয়েছে। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত মজুত থাকা জরুরী। মানব দেহে প্রয়োজনের অতিরিক্ত রক্ত থাকে। নির্দিষ্ট সময় পর পর সেই রক্ত নষ্ট হয়ে যায়। তাই রক্তদান করলে কোন সমস্যা হয় না। রক্তদাতা ও রক্ত গ্রহিতার মধ্যে একটা পৃথক অনুভুতি আসে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।মুখ্যমন্ত্রী এইদিন আরও বলেন রাজ্যে বর্তমানে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। ভালো ভালো চিকিৎসক রয়েছে। চিকিৎসকদের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। চিকিৎসকদেরও তাদের কাজ ও ব্যবহারের মধ্যদিয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। টাকার পিছনে ছুটলে হবে না। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন ত্রিপুরা রাজ্যের ভবিষ্যৎ উজ্জল। যোগাযোগ ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যে মেডিক্যাল হাব করার চেষ্টা করছে সরকার। শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডাক্তার সঞ্জীব দেববর্মা, রামকৃষ্ণ মিশনের সেক্রেটারি স্বামী শুভকরানন্দজী মহারাজ সহ অন্যান্যরা। অতিথিরা সকলে রক্তদান শিবির ঘুরে দেখেন এবং রক্তদাতাদের উৎসাহ প্রদান করেন।