স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ মে : সুশাসনের রাজ্যে তথা কথিত সমাজ সচেতকদের আস্ফালন দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই তথা কথিত সমাজ সচেতকদের আস্ফালনে রাতের বেলায় বাড়ি থেকে ঘুরতে বের হওয়া দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে দম্পতির। দম্পতি একসাথে ঘুরতে বের হলেই তথাকথিত সমাজ সচেতকদের সন্দেহ পরকীয়া করছে তারা। বিলোনিয়া পুরাতন মোটর স্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় দাস। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী।
রবিবার দুপুরে তিনি চিত্তামারা এলাকায় ওনার এক কর্মচারীর বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে যান স্ত্রীকে নিয়ে। সেখান থেকে সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসার সময় কচ্ছবা রাস্তার মাথা এলাকায় সঞ্জয় দাসের স্ত্রী বায়না ধরে মেলায় যাওয়ার। এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এলাকার তথা কথিত সমাজ সচেতকরা। তারা কোন কিছু না বুঝেই দম্পতিকে বেধড়ক ভাবে মারধর করতে শুরু করে। তথা কথিত সমাজ সচেতকদের বক্তব্য দম্পতি স্বামী স্ত্রী নয়, তারা পরকীয়া করার জন্য জঙ্গলে প্রবেশ করছিল।
তথা কথিত সমাজ সচেতকদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন আক্রান্ত দম্পতি। আক্রান্ত দম্পতির আরও অভিযোগ তারা বারে বারে তথাকথিত সমাজ সচেতকদের বলেছে তারা স্বামী স্ত্রী। কিন্তু তথাকথিত সমাজ সচেতকরা তা মানতে রাজি নয়। তারা দম্পতিকে মারধর করার ভিডিও রেকর্ড করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যে সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। আক্রান্ত দম্পতি বিলোনিয়া মহিলা থানায় অভিযুক্ত সমাজ সচেতকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। দাবি জানিয়েছেন অভিযুক্ত তথাকথিত সমাজ সচেতক ও যারা ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করেছে তাদের কঠোর শাস্তির। তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেওয়া হয় আক্রান্ত দম্পতি স্বামী স্ত্রী নয়, তাহলেও আইনত তাদের উপর নির্যাতন করতে পারে না তথাকথিত সমাজ সচেতকরা। সুতরাং দম্পতিকে মারধর করে আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে অভিযুক্ত সমাজ সচেতকরা। পাশাপাশি দম্পতিকে মারধরের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দিয়ে তাদের সম্মান হানি করেছে অভিযুক্তরা। পুলিশ চাইলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইটি এক্ট সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারে। এখন দেখার পুলিশ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।