স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ এপ্রিল : টানা ১২ ঘন্টা চেষ্টা পরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হল দমকল কর্মীরা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার ভোর চারটা নাগাদ আগরতলা শহরতলী দেবেন্দ্র নগর ডাম্পিং স্টেশনের আবর্জনার স্তূপে। আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা খবর দেয় দমকল কর্মীদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকল কর্মীরা। তারা এসে দেখে ডাম্পিং স্টেশনের চার থেকে পাঁচ কানি জমিতে আগুন বিস্তার করে আছে। সকাল দশটা পর্যন্ত দমকলের ছয়টি ইঞ্জিন লাগাতার জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।
যথারীতি দমকলের ইঞ্জিন গেলে ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার স্টেশনে ফিরে আসার পর দুপুর একটা নাগাদ আবারো খবর যায় আবারো আগুন পুনরায় ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এনসিসি ফায়ার স্টেশনের একটি ইঞ্জিন। তারা গিয়ে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। পরবর্তী সময় স্থানীয় একটি পুকুর থেকে জল নিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় দমকল কর্মীরা। দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়ে আবর্জনার স্তূপ ঘেঁষা সারের কারখানার কর্মীদের জানিয়ে দেয় তাদের সার উৎপাদন করার পাকা ঘরের চারদিকে ফায়ার লাইন তৈরি করার জন্য। যাতে সংস্থার ভেতরে আগুন ছড়াতে না পারে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সাংবাদিকরা। তাঁদের আঁচ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোন এক অজ্ঞাত কারণে গা ঢাকা দেয় কারখানার কর্মীরা। এদিকে এনসিসি ফায়ার স্টেশনের অফিসার প্রদীপ কুমার দাস জানান, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সারের কারখানার তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দমকল কর্মীদের প্রাথমিক ধারণা হয়তো অসাবধানতার কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। বিষয়টা যদি পুলিশ তদন্ত করে তাহলে বের হয়ে আসতে পারে অগ্নিকান্ডের ঘটনার সূত্রপাত। নাহলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সংগঠিত হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ যে আবর্জনা স্তূপের মধ্যে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে সেখানে কেউ বিড়ি বা সিগারেট জ্বালিয়ে ফেললে এই অগ্নিকাণ্ড সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছে তারা।
যদিও আগুন এখনো আবর্জনা স্তূপের মধ্যে চাপা পড়ে রয়েছে। এই আগুনের লেলিহান কখন নিভানো সম্ভব হবে জানা নেই। আগুনে সার উৎপাদন করার আবর্জনা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। তবে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনার পেছনে বিরাট রহস্য লুকিয়ে থাকতে পারে বলে অনেকের ধারনা। কারণ আগরতলা পুর নিগমের কাছ থেকে বড় অংকের টেন্ডার পেয়ে সারের কারখানা পরিত্যক্ত আবর্জনা দিয়ে এখানে সার তৈরি করে। এর মধ্যে এ ধরনের ঘটনা সংগঠিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। কারণ আশেপাশে নেই কোন বাড়ি ঘর। সুতরাং রহস্যজনক অগ্নিকান্ড বলা চলে।