Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যক্যাডারদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা লোপ পেয়েছিলো : সুশান্ত

ক্যাডারদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা লোপ পেয়েছিলো : সুশান্ত

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ এপ্রিল : শুক্রবার বিকেলে জিরানীয়া বাজারে বিজেপি মনোনীত পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে আয়োজিত এক যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিন সিপিআইএম দল ছেড়ে ৪০৪ জন ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন। তাদের স্বাগত জানান মজলিশপুর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

 সভায় মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, যে কোন রাজ্য বা দেশের উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন সর্বত্র শান্তির পরিবেশ বিরাজ করে। ভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর গ্রাম-পাহাড়ে আইন শৃঙ্খলার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। এখন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর কোন রাজনৈতিক খুনের ঘটনা ঘটে না। কোন মন্ত্রী বিধায়করা খুন হন না। অথচ এর আগে রাজ্যের শান্তি বিনষ্ট করার জন্য কাজ হয়েছে। মানুষ অশান্তি চায় না, তারা চায় শান্তিতে বসবাস করতে। ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বামেদের তীব্র সমালোচনা করে আরো বলেন, বর্তমান সময়ে রাজ্যের চলমান উন্নয়নমূলক জনহিতকর কাজ বামপন্থী ও তাদের সহযোগী কংগ্রেসীদের একেবারে সহ্য হচ্ছে না। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধে তাদের ভরাডুবির পর এরা নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এরা এখন বলে বেড়াচ্ছে রাজ্যে নাকি গনতন্ত্র নেই। অথচ বামেদের শাসনকালে গ্রামাঞ্চলে সিপিআইএম দলের ক্যাডারদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা লোপ পেয়েছিলো। সিপিআইএম পার্টির আশ্রয়ে সর্বব্যাপী দুর্নীতি ও অপরাধচক্র জাঁকিয়ে বসেছিলো। সিপিআইএম ক্যাডারদের তোলাবাজির ভয়ে ত্রিপুরায় বহিঃরাজ্য থেকে এখানে কেউ বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাতেন না। রাজ্যের সাধারণ মানুষের পিছিয়ে পড়ার মূল কারণ ছিলো বামফ্রন্ট সরকারের দেউলিয়াপনা। নিজেদের ক্যাডরদের কাজ পাইয়ে দেবার জন্য এক অকর্মণ্য প্রশাসন যন্ত্র বামফ্রন্ট সরকার বানিয়ে রেখেছিলো। মন্ত্রী আরো বলেন, দীর্ঘ বাম শাসনে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ দশা ছিলো। রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে দুর্নীতি ও অপরাধচক্র ত্রিপুরায় বীভৎস আকার ধারণ করেছিলো।  জালিয়াতরা সবাই সিপিএম-এর নেতাদের  আশ্রয়ে থেকে বজ্জাতি করে গেছে। সিপিএম ভালো করেই জানতো, ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে শুধু জনসমর্থনের জোরে তারা তা পারবে না, অতএব অন্য উপায়ের আশ্রয় নিতে হবে। কমিউনিস্টরা দু’দফায় ৩৫  বছর পৈশাচিক ভাবে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়ে গিয়েছে। এদের শাসনে নারীদের সম্মান ছিলো না। নারীদের খুন করে বীভৎসভাবে হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে এই রাজ্যে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য