স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ এপ্রিল : বিজেপির ঠেঙ্গারে বাহিনী হল সিবিআই, ইডি, আয়কর। কারো কাছ থেকে টাকা আনতে হলে এই ঠেঙ্গার বাহিনীকে পাঠাচ্ছে, আর টাকা দিলেই সব বন্ধ। আবার প্রধানমন্ত্রী বলছেন বিজেপির লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। কিন্তু নির্বাচনী বন্ড দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি, যেটা বিজেপি করেছে। কিন্তু এর জন্য বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডাকে জেলে না ঢুকিয়ে যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে পারছে না অর্থাৎ অন্যায় ভাবে অরবিন্দ কেজুয়ালকে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাই তারা ঠেঙ্গারে বাহিনী।
মঙ্গলবার পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী আশিস কুমার সাহার সমর্থনে বাধারঘাট সর্বধর্ম মিশন-এর সামনে এক নির্বাচনী সভার আয়োজন বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন সিপিএইএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। ১৬ হাজার কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ড করে দুর্নীতিতে ডুবেছে বিজেপি সরকার। এই টাকা বিজেপি সরকারের নয়। এ টাকা জনগণের টাকা। কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য জনগণের টাকা হাতিয়ে করে বিজেপি এই দুর্নীতি করেছে। শুধু তাই নয় জনগণের টাকা দিয়ে বিজেপি নেতারা হেলিকপ্টার দিয়ে আকাশে উড়ছে। বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে প্রচার করছে। আর জনগণের কাছ থেকে দ্রব্য মূল্য ও ঔষধের দাম বৃদ্ধি করেছে।
এমনকি পয়সা দিয়ে মূল্যবান ওষুধ নিম্নমান করে বিষ খাইয়ে মানুষের আয়ু ক্ষয় করছে। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন বিজেপি প্রধানমন্ত্রীর গ্যারেন্টির কথা বলে এক প্রকার স্বীকার করে নিচ্ছে বগত ১০ বছর ধরে তারা কোন কাজ করে নি। নির্বাচনের পূর্বে বিজেপি যে সকল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, নির্বাচনের পর তারা সেই সকল প্রতিশ্রুতির কথা একবারও মনে করে নি। বিজেপি সরকারের কাজ ও তাদের প্রতিশ্রুতি গুলি নিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে। বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে এনে রাজ্যবাসিকে প্রদান করার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু তা করে নি। বরং ৫০০ ও এক হাজার টাকার নোট বাতিল করে দেশের লক্ষ্য লক্ষ্য শ্রমিকের কাজ কেড়ে নিয়েছে। এইদিনের সভায় সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক ছাড়াও ভাষণ দেন পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী আশিস কুমার সাহা সহ স্থানীয় কংগ্রেস ও সিপিআইএম নেতৃত্ব।