Wednesday, February 12, 2025
বাড়িরাজ্যকমিউনিস্টরা অমর থাকে, ঘুরে দাঁড়াবে রাজ্য : ইয়েছুরি

কমিউনিস্টরা অমর থাকে, ঘুরে দাঁড়াবে রাজ্য : ইয়েছুরি

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ ফেব্রুয়ারি : কমিউনিস্টরা মৃত্যুকে ভয় পায় না। কারণ মৃত্যু হলেও কমিউনিস্টরা অমর থাকেন। সন্ত্রাসে যতই রক্ত ঝড়েছে। সেই রক্ত রং লাল, আর যতক্ষণ মানুষের শরীরে রক্ত থাকবে ততক্ষণ কমিউনিস্ট থাকবে। বৃহস্পতিবার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান থেকে ভাজপাকে প্রতিরোধ করতে এমনটাই বললেন সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেন মানুষ সন্ত্রাসের মধ্য দিয়েও প্রকাশ্য জনসমাবেশে অংশ গ্রহণ করেছে।

তাই তাদের অভিনন্দন। বর্তমান সরকারের চার বছরে ২২ জন কমিউনিস্ট হত্যা হয়েছে রাজ্যে। দলীয় অফিস ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ হয়েছে। কিন্তু এভাবে সন্ত্রাস করে কমিউনিস্ট রুখতে পারবে না ভাজপা। ত্রিপুরা দেশের মধ্যে কেরলের পর গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। বামফ্রন্ট সরকারের সময় ত্রিপুরা শিক্ষার দিকে বিশেষ ভাবে এগিয়েছে। কারণ স্কুল কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি। বর্তমান সরকারের চার বছরে অত্যাচারে রাজ্য আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াবে। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি’র পরাজয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কারণ বর্তমান নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে দেশে সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব বেড়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। দেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মুখ থুবড়ে পড়েছে। এমনকি দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ, বিমানবন্দর টেলিকম সংস্থা পুঁজিপতিদের হাতে বিক্রি করে দিচ্ছে। কিন্তু দেশের সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মালিক নয়। সরকার শুধুমাত্র সংস্থার ম্যানেজার। রাষ্ট্রীয় সংস্থার মালিক হলো জনগণ। তাই দেশবাসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের ম্যানেজারকে পরিবর্তন করার। আর এর জন্য দেশের মানুষ দিনদিন প্রস্তুত হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন সরকার হিন্দু এবং মুসলিমের মধ্যে সরকার চাইছে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করতে। ত্রিপুরা রাজ্যে উপজাতিদের থাকার অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরা রাজ্যে ইতিহাসে কমিউনিস্টদের ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বামফ্রন্ট সরকারের সমর্থন রয়েছে। এর জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রিপুরা বাসীকে অভিনন্দন জানান। কিন্তু সুতরাং সুভ্রাতৃত্ব সুদীঢ় হয় কমিউনিস্টদের সময়। কিন্তু আজকে সময়েও মানুষ এত সন্ত্রাসের মধ্যেও সমাবেশে এসেছে। যা দেশবাসীর জন্য প্রেরণা বলে জানান শ্রী ইয়েচুরি।

সরকারের বিরুদ্ধে যে আওয়াজ তুলছে তার উপরই শাসক দলের দুর্বৃত্তদের দ্বারা ত্রিপুরা রাজ্যে আক্রমণ সংগঠিত হচ্ছে। কিন্তু আগামী দিনে বিজেপি’র বিরুদ্ধে রাজ্যবাসী এক হয়ে লড়তে প্রস্তুত। লড়াইয়ে মার্কসবাদী কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা লড়তে বড় ভূমিকা নেবে। সরকারের জনবিরোধী নীতি এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। সমাবেশ থেকে এমনটাই বার্তা দিলেন সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য প্রকাশ কারাত। এই সরকার গত চার বছরে রাজ্যের মানুষের উপর আক্রমণ করেছে। আগামী দিনের রাজ্যের মানুষ মুখ্য সমস্যাগুলি নিয়ে বিবেচনা করবে। এবং পূর্বে বিকাশ ও উন্নয়নে মুখী সরকারকে ফিরিয়ে আনতে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন শ্রী কারাত। এদিন স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে কর্মী-সমর্থকদের তীব্র সাড়া বামেদের বাড়তি মাইলেজ দিয়েছে। কিন্তু তারপরও ময়দান থেকে বিরোধী দলনেতা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব অভিযোগ বহু কর্মী-সমর্থক জনসমাবেশে আসতে পারিনি। কারণ শাসকদলের দুর্বৃত্তরা তাদের উপর আক্রমণ সংঘটিত করেছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য