Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যনাতির মারধরে আহত বৃদ্ধা, ছেলে, নাতি ও ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা...

নাতির মারধরে আহত বৃদ্ধা, ছেলে, নাতি ও ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করল বৃদ্ধা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ মার্চ : রক্তের সম্পর্ককে হার মানিয়েছে সম্পত্তির লালসা। সম্পত্তির লোভে জীর্ণ দেহ বৃদ্ধাকে মারধর করে আহত করল অভিযুক্ত ছেলে তপন দেবনাথ, নাতি জুয়েল দেবনাথ এবং ছেলের বউ গৌরী দেবনাথ। ঘটনা সোমবার সকালে বিশালগড় থানাধীন চাম্পামুড়া এলাকায়। এদিন দুপুরে বিশালগড় থানায় অভিযোগ জানাতে এসে ৮০ উর্ধ্বে বৃদ্ধা একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন পরিবারের লোকের বিরুদ্ধে।খবর নিয়ে জানা গেছে রাবার বাগান এবং অন্যান্য সম্পত্তির ভাগ নিয়ে গত তিন বছর ধরে স্বামীর মৃত্যুর পর ক্রমাগত মানসিকভাবে নির্যাতন করে যাচ্ছে ছেলে, নাতি এবং ছেলের বউ বলে অভিযোগ।

 অভিযুক্তদের হাত থেকে বাঁচার জন্য তিনি এক বছর বাড়ি থেকে বের হয়ে বাংলাদেশে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফিরার পর গত কয়েক মাস ধরে আবারো এ ধরনের আক্রমণ চলছে অসহায় বৃদ্ধার উপর। সোমবার সকালেও নাতি অসহায় কর্ণবালা দেবনাথ নামে এই বৃদ্ধাকে বেধড়ক মারধর করেছে। মুখে অবিরত ঘুষি মেরে সংজ্ঞাহীন করে মাটিতে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয়রা এসে বৃদ্ধাকে সহযোগিতা করে থানায় যাওয়ার জন্য। থানায় যাওয়ার পর পুলিশ কোন আশ্বাস দেয়নি। বৃদ্ধার দাবি যদি অভিযুক্ত ছেলে, ছেলের বউ এবং নাতির বিরুদ্ধে আইনত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে তিনি বাঁচতে পারবেন, নাহলে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। শুধু তাই নয় অভিযুক্তদের বাড়ি ছাড়া করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এখন দেখার বিষয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘিরে আরও একবার সামাজিক অবক্ষয় বলা চলে। বিশালগড় থানার পুলিশ যদি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে হয়তো এলাকাবাসী বিরুদ্ধে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের গোচরে নিতে পারে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বৃদ্ধা মাকে যন্ত্রণা দিয়ে আসছে অভিযুক্ত ছেলে, নাতি এবং ছেলের বউ। শাসক দলের পরিচয় দিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত পাষণ্ড ছেলে তপন দেবনাথ। এমনকি বৃদ্ধাকে খাবার পর্যন্ত ঠিকভাবে দেয় না বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকায়। খবর লেখা পর্যন্ত জানা যায় অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করে নি বিশালগড় থানার পুলিশ। এতে ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য