স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ মার্চ : চানমারি এলাকার ডাকাতির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার আড়ালিয়া ও বলদাখাল এলাকায় ডাকাতি। ঘটনায় রীতিমতো আগরতলা শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। যদিও পরবর্তী সময় পুলিশ ডাকাতির ঘটনার কিনারা করতে সক্ষম হয়। এক প্রকার বন্ধ হয় ধারাবাহিক ডাকাতির ঘটনা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের একবার ডাকাত দল পুলিশকে জানান দিল তারা এখনো সক্রিয় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ডাকাত দল হানা দেয় আড়ালিয়া ও বলদাখাল এলাকার দুই বাড়িতে। ধারালো দা, ছুরি ও শাবল দেখিয়ে উভয় বাড়ি থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। ডাকাত দলের আক্রমণে আহত হয় তিন জন। ঘটনার বিবরণে জানা যায় ডাকাত দল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রথমে বলদাখাল এলাকার সঞ্জয় পালের বাড়িতে হানা দেয়। বাড়ির মালিক জানান ডাকাত দলের সদস্যরা প্রথমে ঘরে প্রবেশ করে ওনার হাত বেধে ফেলে। পড়ে পরিবারের লোকজনদের ভয় দেখিয়ে ঘর থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা সহ স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।পরে ডাকাত দলের সদস্যরা হানা দেয় আড়ালিয়া ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা মিহির দেবনাথের বাড়িতে। মিহির দেবনাথ জানান ডাকাত দলের সদস্যরা শাবল দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। ডাকাত দলের সদস্যরা ঘরে প্রবেশ করে প্রথমে ওনার গালা টিপে ধরে। তখন তিনি চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করেন।
কিন্তু ডাকাত দলের সদস্যর ধারালো দা দিয়ে ওনার হাতে কোপ দেয়। তিনি ডাকাত দলের দুই সদস্যের সাথে ধস্তাধস্তি করার সময় অপর দুই সদস্য ঘর থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ও ওনার স্ত্রীর গলা থেকে একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। ডাকাত দলের চার সদস্য ঘরে প্রবেশ করেছিল। বাকি দুই সদস্য ঘরের বাইরে ছিল। এইদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পড়ে এক এক করে ঘটনাস্থলে ছুটে যান আইজি আইন-শৃঙ্খলা, পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় ডগ স্কোয়াড। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক জানান ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেই তথ্যকে হাতিয়ার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। উভয় বাড়ির লোকজনদের বক্তব্য ডাকাত দলে ৬ সদস্য ছিল। চার সদস্য ঘরে প্রবেশ করেছে এবং দুই সদস্য ঘরের বাইরে ছিল। কিন্তু এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে। তাদের সকলের মুখ বাধা ছিল। তাদের হাতে ছিল দা, শাবল, ছুরি ইত্যাদি। প্রশ্ন হচ্ছে এই ৫ জনের সাথে বাকি এক জন কোথা থেকে এসেছে। তাহলে কি স্থানীয় কেউ এই ডাকাতির ঘটনার সাথে যুক্ত ? তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে যাদের দেখা গেছে, ধারনা করা হচ্ছে তারা স্থানীয় নয়। এই ডাকাতির ঘটনার সাথে বাংলাদেশি কিংবা প্রতিবেশী রাজ্য আসামের ডাকাত দলের কোন যোগাযোগ নেই তো। উত্তরটা হয়তো সঠিক পুলিসি তদন্তে বেড়িয়ে আসবে। এখন দেখার পুলিশের তদন্তে কি রহস্য বেড়িয়ে আসে।