স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ ফেব্রুয়ারি : শ্যালিকাকে অপহরণ করে বহিঃরাজ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ভগ্নিপতিকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করল গোমতী জেলার জেলা ও দায়রা আদালত। সাজা প্রাপ্ত আসামীর নাম রাজীব কর্মকার। তার বাড়ি অমরপুরের ফটিক সাগর পাড়ে।
আদালত এইদিন একাধিক ধারায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় অমরপুরের ফটিক সাগরের পাড় এলাকার বাসিন্দা রাজীব কর্মকার বিয়ের পর থেকে নিজের স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করে। স্ত্রীকে নির্যাতন করে শ্যালিকাকে কু-প্রস্তাব দিত। শ্যালিকা কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে স্ত্রীর উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িতে দিত। ২০২১ সালের ৩ জুন পরিকল্পনা করে রাজীব কর্মকার নিজের স্ত্রীকে আগরতলা নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এবং গৃহশিক্ষকের বাড়িতে যাওয়ার সময় নিজের শ্যালিকাকে জোর পূর্বক অপহরণ করে চেন্নাই নিয়ে চলে যায়। সেখানে গিয়ে একটি ঘর ভাড়া করে শ্যালিকাকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস শুরু করে। চেন্নাই থাকাকালীন সময় রাজীব কর্মকার নিজের শ্যালিকাকে একাধিকবার জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এইদিকে রাজীব কর্মকারের শ্বশুর বাড়ি থেকে কাঁকড়াবন থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তী সময় রাজীব কর্মকার শ্যালিকাকে নিয়ে রাজ্যে আসার পর পুলিশ বিমান বন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। তারপর গোমতী জেলার জেলা ও দায়রা আদালতে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। আদালতে এই মামলার শুনানি চলাকালীন সময় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য বাক্য গ্রহণ করা হয়। সোমবার আদালত অভিযুক্ত রাজীব কর্মকারকে একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করে। অপহরণের দায়ে রাজীব কর্মকারকে দোষী সাব্যস্ত করে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৬৩ ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের জেল। পক্সো এক্টে দোষী সাব্যস্ত করে ১২ বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতের এই রায়ের বিষয়ে জানান সরকার পক্ষের আইনজীবী পল্টু দাস।