-স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ ফেব্রুয়ারি : ১০০ শতাংশ মানুষের মুখের হাসি ফুটানো সম্ভব নয়। তারপরেও সরকার চেষ্টা করছে কাজ করার। কিন্তু পূর্বের ৩৫ বছরে সরকার রাজ্যবাসী দেখেছে। সমস্যা সৃষ্টি করে রাখত তৎকালীন সরকার। আর সেই সরকার পরিবর্তনের পর বর্তমান সরকার মানুষের সে সমস্যা সমাধান করতে চাইছে।
শুক্রবার রাজধানীর প্রগতি বিদ্যাভবন প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রাথমিক পর্যায়ে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চারটি দুগ্ধজাত প্রোডাক্ট – আইসক্রিম, দই, ঘি এবং পনির সদর মহকুমা অন্তর্গত পনেরোটি রেশন শপে মাধ্যমে সরবরাহ করার সূচনা করেন। যাতে মানুষ সুলভ মূল্যে গোমতীর দুগ্ধজাত দ্রব্য ন্যায্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে পেয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, খাদ্য, জনসংভরন ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তর এবং গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার্স ইউনিয়ন লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকনির্দেশনায় গন বন্টন ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একটি বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম পদক্ষেপ। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে আগে বলেন দেশকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যদি উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নত না হয় তাহলে দেশ উন্নত হবে না। তাই উত্তর পূর্বাঞ্চলকে উন্নত করার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে ত্রিপুরাকে গত ৬ বছরে প্রধানমন্ত্রী হীরা মডেল দিয়েছেন। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য ও জনসংভরন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিক।