স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ ফেব্রুয়ারি : প্রেমের আবেগে নয় মাস গর্ভে নেওয়া সন্তানকেই পর করে দিল এক মা। আর এই বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বাবা, দিদার হাত ধরে বিলোনিয়া থানাতে ছয় বছরের শিশু সন্তান সুপ্রীয় দেবনাথ কান্নায় ভেঙে পড়লেন। কিন্তু মা যে সন্তানের কাছে ফিরে যেতে রাজি হলো না।
বহুবার মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নার সুরে “মা ঘরে চলো” বলার পরেও হৃদয়হীনা মায়ের মন কাঁদেনি। বরং ছয় বছরের পুত্র সন্তানকে ফেলে রেখে চলে গেল অন্য পুরুষের হাত ধরে। ছলছল চোখে ছয় বছরের পুত্র সন্তান সুপ্রীয় বলছে মা যাবে না বলে দিয়েছে! সুপ্রীয়ের বাবা ও দিদা দুজনেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে। এমনই এক জন্মদায়িনী মায়ের কীর্তি দেখে সকলে হতবাক হয়ে পড়ে। কি বলে সান্তনা দেবে অন্ততপক্ষে শিশুটিকে! ছয় বছরের পুত্র সন্তানের সামনে অন্য পুরুষের হাত ধরে চলে যাওয়ার ঘটনায় জন্মদায়িনী মা যেন সভ্য সমাজে কলঙ্কিত করে তুললো ধনী দেবনাথ ওরফে চুমকি নামে এই মহিলা। ধনী দেবনাথ নামে এই পাষানি মহিলা বিয়ের পরেই সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ হয় বিলোনিয়া থানাধীন চেলাগাঙের প্রণব রায় নামে এক গাড়ি চালকের সাথে। যোগাযোগ হওয়ার পর থেকেই এই পিরিতি, কাঁঠালের আঠার মতো লেগে যায়। অবশেষে গত ২৯ আগষ্ট আধার কার্ড ঠিক করার অজুহাত দেখিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়ে ফিরে যায় নি। ঘটনার টের পায় নি স্বামী সুমন দেবনাথ। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হওয়ার পরে স্বামী সুমন দেবনাথ খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজ খবর নিতে গিয়ে জানতে পারে অন্য নাগরের হাত ধরে পালিয়ে গেছে স্ত্রী।
তখনো বিশ্বাস হয় নি, পরে ঘরের জিনিসপত্র খোঁজা খুঁজি করার পর টাকা পয়সা, স্বর্নের জিনিস না পেয়ে বিশ্বাস হয়। এরপর স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার আশায় গত ৩০ আগষ্ট বিলোনিয়া মহিলা থানাতে নিখোঁজ ডাইরি করেছিলেন। মহিলা থানার হেলদোল না দেখে বিলোনিয়া আদালতের দ্ধারস্থ হয় ধনীর স্বামী সুমন। আদালতের দাবড়ানি খেয়ে অবশেষে চেলাগাং থেকে ধনী সহ নাগর প্রনবকে বিলোনীয়া থানাতে নিয়ে আসে গত রবিবার । সেই খবর পেয়ে জন্মদায়িনী মাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বাবা, দিদার হাত ধরে বিলোনিয়া থানাতে ছয় বছরের শিশু সন্তান সুপ্রীয়। কিন্তু থানাতে এলেও মা ছাড়া ফিরতে হলো ছয় বছরের পুত্র সন্তানের। স্বামী সুমন দেবনাথ নিজের স্ত্রীকে ঘরে তুলে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দরজায় কড়া নাড়ছে। একমাত্র পুত্র সন্তানের জন্য স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার জন্য আকুল আবেদন করছে।