Monday, February 17, 2025
বাড়িরাজ্যজাতি জনজাতির মেলবন্ধনের বার্তা দিয়ে শুরু হল তীর্থমুখের ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি মেলা

জাতি জনজাতির মেলবন্ধনের বার্তা দিয়ে শুরু হল তীর্থমুখের ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি মেলা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ জানুয়ারি : লক্ষাধিক ধর্মানুরাগী মানুষের কোলাহল ও জাতি জনজাতির মেলবন্ধনের বার্তা দিয়ে শুরু হল দুই দিন ব্যাপী তীর্থমুখের ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি মেলা। মেলাকে কেন্দ্র করে নেমেছে জনঢল।

 রবিবার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার হাত ধরে এই তীর্থমুখের ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি মেলার শুভ উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যান মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, সমবায় মন্ত্রী শুক্লা চরন নোয়াতিয়া, টিটিএএডিসির কার্যনির্বাহী সদস্যা ডলি রিয়াং, বিধায়ক সঞ্জয় মানিক ত্রিপুরা, বিধায়িকা নন্দিতা রিয়াং, বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, জনজাতি কল্যান দপ্তরের অধিকর্তা এস. প্রভু, জেলা শাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা ও পুলিশ সুপার নমিত পাঠক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন করবুক ব্লকের বি এসির ভাইস চেয়ারম্যান প্রনব ত্রিপুরা।

 মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বক্তব্য রেখে বলেন, এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠন করার জন্য আজকের পবিত্র দিনে সকলকে শপথ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। পাশাপাশি জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষ একে অপরের হাত ধরে চলার অঙ্গীকার নিতে বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় বিশ্বাস ও আস্থার টানে তীর্থমুখে আজ প্রচুর সংখ্যক মানুষ সমবেত হয়েছে, সেই রকম বিশ্বাস রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্গদর্শন অনুসরন করে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে সরকার। জনজাতি কল্যান মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে তীর্থমুখ এলাকায় মোবাইল টাওয়ার প্রতিস্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা হবে। এছাড়াও তিনি বলেন অত্র এলাকার উন্নয়নের জন্য জনজাতি কল্যান দপ্তরের পক্ষ থেকে ১৫ কোটি টাকার একটি ডিপিআর তৈরি করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে টি.টি.এ.এ.ডি.সি -র কার্যনির্বাহী সদস্যা ডলি রিয়াং তীর্থমুখ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নিকট আর্জি জানান।

 তিনি বলেন তীর্থমুখ হল জনজাতিদের গয়া কাশী। এই স্থানটির সাথে জনজাতিদের ধর্মীয় ভাবাবেগ জড়িয়ে আছে। তাই এই এলাকায় উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নিকট হাত জোড় করে অনুরোধ জানান। পাশাপাশি তীপ্রা মথার ওই নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার ভূয়শী প্রশংসা করেন। সোমবার সকাল থেকে গোমতীর উৎসস্থলে গঙ্গা পূজা, অস্থি বিসর্জন ও পূজার্চনার কাজ শুরু হয়ে যায়। দলে দলে পুর্ণ্যার্থীরা ধূপকাটি মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করা হয়।মকর সংক্রান্তির পুণ্য তিথিতে মাথা মুন্ডন করে পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ ও অববাহিকা করা হবে। অনুষ্ঠানের শেষে মুক্ত মঞ্চে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর কৃষ্টি সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। এবছর মেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজের প্রদর্শনী স্টল খোলা হয়েছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য