স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ জানুয়ারি : সময় মতো রেশন না পাওয়ায় ধর্মনগর মঙ্গলখালী পল্লীমঙ্গল প্যাক্সের গ্রামবাসী সড়ক অবরোধ করল শনিবার। অবশেষে মহকুমা শাসকের আশ্বাসে অবরোধ মুক্ত হয়। এদিন সকাল আটটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত মঙ্গলখালীতে রাস্তা অবরোধ করে রাখে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। জানা যায় মঙ্গলখালীতে পল্লীমঙ্গল প্যাক্সের আওতাধীন একটি ন্যায্য মূল্যের দোকান রয়েছে। এই দোকানের কার্ড হোল্ডার ৯০০ জন। কিন্তু গত ৪ – ৫ মাস ধরে গ্রাহকরা সময় মতো চাল বা অন্যান্য সামগ্রী রেশন দোকান থেকে পাচ্ছে না।
তাদের অভিযোগ প্রতিমাসের শেষের দিকে ন্যায্য মূল্যের দোকানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে আর কিছু দেওয়া হয় না। রেশন ডিলারের দায়িত্বে রয়েছেন বারীন্দ্র নাথ। তার পিতা চরণ নাথ শাসকদলের নেতা হওয়ায় যা ইচ্ছে তাই করে চলেছে ছেলে বারেন্দ্র নাথ। গ্রামবাসীরা প্যাক্সের ম্যানেজার নির্মল কান্তি দের কাছে ন্যায্যমূল্যের দোকান নিয়ে অভিযোগ জানালে কোন সঠিক উত্তর না পাওয়ায় অবশেষে রাস্তা অবরোধের নামে গ্রামবাসীরা। শনিবার দুপুর বারোটা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ চলে। খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যান ধর্মনগরের মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট সামজয় জমাতিয়া, ডিসিএম সঞ্জয় আচার্য এবং ফুড ইন্সপেক্টর সহ পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সেখানে গ্রামবাসীদের সাথে আধিকারিকদের কথাবার্তার পর গ্রামবাসীরা আশ্বাস পেয়ে রাস্তা অবরোধ মুক্ত করে। আধিকারিকগণ জানান, এখন থেকে প্রতিমাসে ন্যায্যমূল্যের দোকানে গ্রাহকরা সঠিক সময়ের সরকারি দ্রব্য সামগ্রী পাচ্ছে কিনা তা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এই মাসে মঙ্গলখালী ন্যায্য মূল্যের দোকানে শুধু একটা নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে সেলসম্যানের অসুবিধার কারণে এই মাসের ন্যায্যমূল্যের দোকানের সামগ্রী কৃষ্ণপুর ন্যায্যমূলের দোকান থেকে দেওয়া হবে। এখন দেখার বিষয় সঠিক সময়ে রেশন সামগ্রী তাদের ভাগ্যে জোটে কিনা। তবে প্রশাসনিক আধিকারিকদের পর্যবেক্ষণের অভাবে এই ধরনের হয়রানি শিকার হতে হয়েছে গ্রামবাসীর। এদিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীর দাবি।