Sunday, February 16, 2025
বাড়িরাজ্যসুপারস্পেশালিটি চক্ষু হাসপাতাল দ্য রেটিনা সেন্টার রাজ্যের স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পের তালিকাভুক্ত

সুপারস্পেশালিটি চক্ষু হাসপাতাল দ্য রেটিনা সেন্টার রাজ্যের স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পের তালিকাভুক্ত

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ জানুয়ারি। শরীর এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে ত্রিপুরাবাসীদের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যের যত্ন সংক্রান্ত তাদের প্রচেষ্টা সমাজের বিভিন্ন স্তরে নিয়মিত প্রত্যক্ষ করা যায়। এর প্রধান কারন ভারতের অন্যতম শিক্ষিত রাজ্য ত্রিপুরা। তবে ভূগোল-গভ দুর্গমতার কারনে প্রয়োজন এবং ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও ত্রিপুরার অধিবাসীরা অনেক সময়েই অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ দিতে পারেন না। এই অবস্থার কিছুটা হলেও সমাধান সূত্র চোখে পরছে। ত্রিপুরার রাজা সরকারের সক্রিয় ভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা বৃদ্ধির চেষ্টার সাথে সাথে হেলথ ইন্সুরেন্স স্কিমগুলির আওতায় বেসরকারি সুপার স্পেসিয়ালিটি হসপিটালগুলি ভালিকাভুক্ত করার প্রচেষ্টাও চলছে।

এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে, গুয়াহাটি-র সুপরিচিত সুপার-স্পেশালিটি চক্ষুরোগ হসপিটাল ‘দ্য রেটিনা সেন্টার’ কে ত্রিপুরার স্বাস্থ্য বীমা পরিষেবার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নতুন বছর ২০২৪-এ ত্রিপুরাবাসী দের কাছে নিখুঁত চক্ষু পরীক্ষা ও চক্ষুরোগের অত্যাধুনিক চিকিৎসার জন্য এটি অভান্ত খুশির খবর।

“মানুষকে সঠিক মূল্যে অভ্যাধুনিক চক্ষু চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য বীমার পরিষেবার গুরুত্ব অপরিসীম। উত্তরপূর্ব ভারতের পরিচিত এবং বিশ্বস্ত চক্ষুরোগ চিকিৎসার হসপিটাল হিসাবে, আমরা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের হসপিটাল কে ত্রিপুরার স্বাস্থ্য বীমা স্কিমের তালিকাভুক্ত করার জন্য আমরা ত্রিপুরা সরকার এবং সাধারণ মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ।’ ডঃ এস কে আহমেদ, প্রবীণ চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ এবং প্রতিষ্ঠাতা, দ্য রেটিনা সেন্টার

জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে স্মার্ট ফোন ও অন্যান্য ডিজিটাল টেকনোলজির ব্যবহার আজেকের দিনে চোখের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। চোখের সমস্যার জন্য ডিজিটাল স্ক্রিনে ব্যবহারে সাময়িক বাঁধা নিষেধ থাকলে এই অসুবিধা সহজেই অনুভব করা যায়। তাই আপাতদৃষ্টি তে চোখের কোন সমস্যা সামান্য মনে হলেও আমাদের উপেক্ষা করা উচিৎ নয়। সঠিক সময়ে রোগ নির্ধারণ করা গেলে, চোখের বেশির ভাগ সমস্যাই আজ নিরাময় করা সম্ভব।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভাবনীয় প্রমার চোখের বিভিন্ন সমস্যা নির্ণয় এবং চিকিৎসাকে অনেক বেশি সহজলভ্য করে তুলেছে। ভারতে এই ধরনের সুপার স্পেসালিটি চক্ষু চিকিৎসার খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। তা সত্ত্বেও, এই ধরনের চিকিৎসা এখনও বহু সাধারণ মানুষের বাজেটের বাইরে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে যথাযথ প্রযুক্তি থাকলেও, সেগুলি কে প্রায়ই রোগীর উপচে পড়া ভিড় সামলাতে হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্রে সঠিক সময়ে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। এই ব্যবধান পূরণ করতে, ভারত জুড়ে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার গুলি স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পের অধীনে বিশিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে তালিকাভুক্ত করছে। এতে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষরা বিনা খরচে বা অতিস্বল্প মূল্যে আধুনিক চক্ষুরোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।

দ্য রেটিনা সেন্টার

দ্য রেটিনা সেন্টার আসামের গুয়াহাটিতে অবস্থিত একটি অত্যন্ত সুপরিচিত এবং বিশ্বস্ত সুপার-স্পেশালিটি চক্ষু হাসপাতাল। এই সংস্থার মূল মন্ত্র ‘উত্তরপূর্ব ভারতের সর্বত্র সাশ্রয়ী মূল্যে চক্ষুরোগের আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসার পরিষেবা প্রদান”। রেটিনা সেন্টার হাসপাতালটি চোখের সাধারণ সমস্যা থেকে শুরু করে জটিলতম চোখের রোগের জন্য অত্যাধুনিক ডায়াগনস্টিক সুবিধা এবং চিকিৎসার সেবা প্রদান করে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য