Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যবিশ্বজিৎ -এর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি...

বিশ্বজিৎ -এর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করল পরিবার

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ জানুয়ারি : ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হলেন বৃদ্ধ পিতা অজিত সরকার। মৃত পুত্রের নাম বিশ্বজিৎ সরকার। বাড়ি অমরপুরে। কিন্তু বিশ্বজিৎ এনআইটি -তে পি এইচ ডি -র ছাত্র ছিল বলে রানীরবাজার এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। বুধবার বড়দোয়ালি তালতলা এলাকায় সাংবাদিক সম্মেলনে করে তিনি জানান গত শুক্রবার তার ছেলে মৃত্যু হয়েছে। ছেলের মৃত্যুর পর ছেলের বৌউ দাবি করেন, ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছেন বিশ্বজিৎ সরকার। তবে তার পিতার অভিযোগ ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না।

কারণ ছেলে ফাঁসিতে আত্মহত্যা দিলে তার দড়ি দেখতে পারত তার পিতা সহ পরিবারের অন্যান্য লোকজনেরা। গত শুক্রবার ছেলের মৃত্যুর পর প্রথমে বিশ্বজিতের শশুর শেখর চৌহান ফোন করে তার বাড়ির লোকজনদের জানায় বিশ্বজিৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তারপর তাদের বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করে জিবি হাসপাতালে, আবার কখনো রানীরবাজার ভাড়া বাড়িতে যেতে বলে। শেষ পর্যন্ত জিবি হাসপাতালে গিয়ে ছেলের মৃতদেহ দেখতে পায় বিশ্বজিৎ -এর পিতা অজিৎ সরকার। তিনি আরো বলেন জিবি হাসপাতালে যাওয়ার পর পুলিশ সাদা কাগজে ওনার স্বাক্ষর নিতে চেয়েছিল। কিন্তু স্বাক্ষর দেননি তিনি। কারণ তাদের ধারণা ছেলের মৃত্যুর পেছনে অন্য কোন রহস্য রয়েছে। যা পুলিশ কর্তৃক ম্যানেজ করার চেষ্টা চলছে। মৃত বিশ্বজিতের মামা জানান তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।

 এটা তিনি জিবি হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পেরেছিলেন। যদিও এখন পর্যন্ত তাদের হাতে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসেনি। প্রাথমিক ধারণা এই ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে বিশ্বজিতের স্ত্রী কথাকলি চৌহান এবং তার শশুর সেখর চৌহান। কারণ ২০২১ সালে সামাজিকভাবে বিয়ে হওয়ার আগে বিশ্বজিতের পরিবার জানতো কথাগুলি বিএসসি নার্সিং -এ পাঠরত। কিন্তু বিয়ের পরে জানতে পারে কথাকলি মডেলিং করে। কথাকলি পোশাক পরিধান নিয়ে পরিবারের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকতো। এর জন্য স্ত্রী কথাকলি চৌহান তার স্বামী বিশ্বজিৎকে বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ। বিশ্বজিৎ সে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার পরিবারকেও জানাত। বিশ্বজিৎ -এর মৃত্যুর পর রাণীরবাজার থানার পুলিশের কাছে বিশ্বজিতের স্ত্রী এবং শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ বিশ্বজিতের পরিবারের অভিযোগ যাচাই করে দেখছে না। যার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করলেন বিশ্বজিতের মা বাবা ও মামা সহ সকল আত্মীয় পরিজন। পাশাপাশি সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেন ছেলে হারা মা বাবা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য