স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ জানুয়ারি :উত্তর জেলায় অপরাধমূলক ঘটনা এবং যান দুর্ঘটনা রুখতে ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসন। এর পেছনে মূলত কারণ সাধারণ মানুষের অসচেতনতা এবং পুলিশ প্রশাসনের চরম গাফিলতি। এরই মধ্যে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেন উত্তর জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী।
বৃহস্পতিবার নিজ অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের নিয়ে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানের সামিল হন। পুলিশ সুপার জানান, ২০২২ সালে উত্তর জেলায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২৪ জনের, আর ২০২৩ সালে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জন। অর্থাৎ কিছুটা হলেও দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পরিমাণ কমানো সম্ভব হয়েছে। ২০২২ সালে দুর্ঘটনার মামলা হয়েছিল ৫৩ টি, ২০২৩ সালে তা কমে হয়েছে ৩৩ টি। মহিলা সংক্রান্ত মামলার পরিমাণও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। যেখানে ২০২২ সালে ছিল ১১২ টি, সেখানে ২০২৩ সালে ১০৭ টি মামলা গৃহীত হয়েছে। তবে ২০২২ সালে এনডিপিএস মামলার সংখ্যা ছিল ৭১ টি, ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ টিপতে। ২০২২ সালে মানুষকে অবগত করতে ট্রাফিক পুলিশ জরিমানা বাবদ পেয়েছিল ৮৪ লক্ষ টাকা, ২০২৩ সালে ট্রাফিকরা জরিমানা বাবদ সংগ্রহ করেছে ৯৬ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা।
শুধুমাত্র ডিসেম্বর মাসে ট্রাফিকের জরিমানা বাবদ সংগ্রহ ২২ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। এত কঠোর হওয়ার পরও দুর্ঘটনার কবল থেকে মানুষকে পুরোপুরি রক্ষা করা যাচ্ছে না, তার জন্য পুলিশ সাধারণ মানুষের সাহায্য নিয়ে বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় এবং ক্লাবগুলিতে সচেতনতামূলক শিবির করছে। কীভাবে দুর্ঘটনার হার শূন্যতে নিয়ে আসা যায়, ড্রাগসের কড়াল গ্রাস থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করা যায়। তিনি আরো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যেভাবে নেশা ছড়িয়ে পড়ছে তাতে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষরা বিচলিত হয়ে পড়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি উত্তর জেলাবাসীর কাছে অপরাধমূলক ঘটনা এবং দুর্ঘটনার রুখতে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি সহযোগিতা চান। কিন্তু পুলিশ কতটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে সেটাই বড় প্রশ্ন উত্তর জেলাবাসীর? কারণ উত্তর জেলাবাসী চাইছে অপরাধমূলক ঘটনা এবং দুর্ঘটনা রুখতে পুলিশ আরো বেশি কঠোর হোক এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে মাঠে ময়দানে দায়িত্ব পালন করুক।