স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ ডিসেম্বর : যাদের পরিবারের কেউ রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারের জন্য রাজ্য সরকার ২০২০ সালে ২৩ ডিসেম্বর এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। এই সিদ্ধান্তটি হল ২০১৮ সালের ৯ মার্চের আগে যারা রাজনৈতিক কারনে খুন হয়েছে তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে। তাদের পরিবার যেন একটি সরকারি চাকুরী পেতে পারে তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
তার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়। ২০২৩ সালের ১৪ জুন সেই কমিটি পুনঃগঠন করা হয়। এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় মন্ত্রী রতন লাল নাথকে। এই ক্ষেত্রে চাকুরী পাওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট আবেদন পত্রে আবেদন জানাতে হবে। আবেদন পত্র বিনামূল্যে প্রতিটি মহকুমা শাসকের কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে। এই আবেদন পত্র জমা দেওয়ার পর জেলা শাসক তদন্ত করে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরকে রিপোর্ট প্রদান করবে। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর সেই রিপোর্ট স্ক্রুটিনি কমিটির নিকট সেই রিপোর্ট প্রেরন করবে। এই ধরনের ২৬ টি আবেদন পত্র ইতিমধ্যে জমা পড়েছে। স্ক্রুটিনি কমিটি ইতিমধ্যে ১৫ টি আবেদন পত্র বৈধ বিবেচনা করে ১৫ জনের নাম প্রস্তাব করেছে। সেই ১৫ জন ইতিমধ্যে চাকুরি করছে।
১৫ জনের মধ্যে ৭ জন চাকুরি করছে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে। শিক্ষা দপ্তরে চাকুরি করছে ৩ জন, রাজস্ব দপ্তরে চাকুরী করছে ৫ জন। বৃহস্পতিবার পূর্বতন কমিটির পুনঃরায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে ৬ টি আবেদন পত্র নিয়ে আলোচনা হয়। তার মধ্যে ৩ টি আবেদন পত্র বৈধ বিবেচনা করে তিন জনকে চাকুরী দেওয়ার প্রস্তাব করে কমিটি। এই তিন জন হল মনুবাজারের গৌতম দেবনাথ, পলাশ দেবনাথ ও শুভ্রা মজুমদারের। ৬ টি আবেদন পত্রের মধ্যে একটি আবেদন পত্র পুনঃরায় তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। দুইটি আবেদন পত্র খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কারন পুলিশ রিপোর্টে এই গুলি রাজনৈতিক খুন বলে উল্লেখ করা হয় নি। বৃহস্পতিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সংবাদ জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।