স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ ডিসেম্বর : জমি কেনা-বেচার লেনদেন নিয়ে স্কুলে এসে এক শিক্ষককে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিল দুর্বৃত্তরা। অভিযোগের কাঠগড়ায় গোপীনগর পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানও। পুলিশ মামলা নিয়ে তদন্তে নেমেছে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার বিশালগড় মহকুমার গোপীনগর এস বি স্কুলে।জানা গেছে জানাযায় চড়িলাম নন্দনকানন এস বি স্কুলের শিক্ষক শান্তি রঞ্জন সাহা ও ব্যবসায়ী নৃপেন্দ্র ভৌমিক বিশালগড় শীতলটিলা এলাকার সন্তোষ বিশ্বাসের নিকট থেকে বিশালগড় বাইপাসে এক কানি জায়গা কেনার জন্য বায়না করেন।
তাও প্রায় তিন বছর আগে।৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে জায়গা কেনার সিদ্ধান্ত হয়। বায়না বাবদ ব্যবসায়ী নৃপেন্দ্র ভৌমিক ৮ লাখ এবং শান্তি রঞ্জন সাহা ১০ লক্ষ টাকা দেন। জায়গার বাকি টাকা দিতে না পাওয়ায় জায়গার মালিক সন্তোষ বিশ্বাস দুইজনকে তাগদা দিচ্ছিলেন।অন্যদিকে নৃপেন্দ্র ভৌমিক শান্তি রঞ্জন সাহাকে চাপ দিতে থাকেন বায়না বাবদ দেওয়া ৮ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার।অভিযোগ এরই মধ্যে নিজ বাড়ি এলাকায় গোপি নগরে শান্তি রঞ্জনের নিজের জমিতে গড়ে তোলা ১১ কানি রাবার বাগান প্রায় আট মাস ধরে দখল করে ভোগ করছেন গোপি নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রাজু ঘোষ এবং এলাকার কৃষ্ণ ঘোষরা বলে অভিযোগ।সোমবার দুপুরে নিজের কর্মস্থল নন্দনকানন এস বি স্কুল থেকে শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ মূলে বর্তমানে ডিও দায়িত্বে থাকা শান্তি রঞ্জন সাহা গোপিনগর স্কুলে আসা মাত্রই রাজু ঘোষ কৃষ্ণ ঘোষ সহ একদল দুষ্কৃতিকারী উনার উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগ শিক্ষকে স্কুল চত্বরে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। এলাকাবসি এগিয়ে আসায় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এদিকে অভিযুক্ত নৃপেন্দ্র ভৌমিককে এবিষয়ে জিজ্ঞেসা করলে তিনি অস্বীকার করেন বিদ্যালয়ে যাওয়ার অভিযোগ। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন শান্তি রঞ্জন সাহা টাকা নিয়ে তাকে টাকা কিংবা জায়গাও দিচ্ছেন না। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় পুলিশ। মামলা নিয়ে তদন্তে নেমেছে। প্রশ্ন উঠছে শিক্ষকের সঙ্গে জমি ব্যবসায়ী নৃপেন্দ্র ভৌমিক কেনার জন্য বায়না করে থাকলে কেন শান্তি সাহা টাকা ফেরত দেবেন। লেনদেন তো হয়েছে জমির মালিকের সঙ্গে। সেই মতো জমির মালিক তো শান্তি রঞ্জন সাহা নয়। দাবি উঠেছে ঘটনার তদন্ত ক্রমে পুলিস যাতে পদক্ষেপ নেয়।