স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ নভেম্বর : একদিকে সুশাসনের দ্বিতীয় পর্ব চলছে, মহাকরণে বসে মন্ত্রী দাবি করছেন গোটা রাজ্যের মধ্যে সার্বিক বিকাশ হয়েছে ছয় বছরে। কিন্তু সুশাসনের ঠেলায় বাস্তবে চিত্র অন্যরকম। কারণ তেলিয়ামুড়া মহকুমা’র অন্তর্গত মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের হলুদিয়া এ.ডি.সি ভিলেজের অন্তর্গত বংশীপাড়াতে দেড় দিনের কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে দিল এক জনজাতি পরিবার। আর জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রে এ ধরনের ঘটনার অভিযোগ উঠতেই সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য।
জানা যায়, বংশীপাড়া এলাকার বাসিন্দা খুকেন দেববর্মার দেড় দিনের কন্যা সন্তান ত্রিশ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছে। নিজের স্ত্রীকে ঘুমে রেখে এই কন্যা সন্তানের পিতা খুকেন দেববর্মা বিক্রি করেছে বলে খবর। বর্তমানে তার গর্ভজাত কন্যা সন্তানকে ফিরে পাবার জন্য অসহায় মা দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তবে জানা যায়, বংশীপাড়া’র বাসিন্দা খুকেন দেববর্মা পরিবারের আর্থিক অভাব বন্টন সহ্য করতে না পেরে নগদ ত্রিশ হাজার টাকার বিনিময়ে ছনপাড়া এলাকার সুশীল দেববর্মার সঙ্গে শলাপরামর্শ করে দেড় দিনের কন্যা সন্তানকে বিক্রি করেছে। সংশ্লিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কন্যা সন্তানটির মা অসহায়ের মতো যখন এদিকে ওদিকে ছোটাছুটি শুরু করছে।
দিকে দিকে প্রশ্ন উঠছে এ কেমন সুশাসন যেখানে অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি হয়? দিকে দিকে প্রশ্ন উঠছে এ কেমন বিকশিত ভারত? এ কেমন এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা ? যেখানে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে দেড় দিনের শিশু কন্যা পর্যন্ত বিক্রি হয়। যদিও স্থানীয় সাংবাদিকদের তৎপরতায় বিষয়টি এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্য মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার নজরে আসে। আর মন্ত্রী বাহাদুরের নজরে গোটা বিষয়টি আসতেই শুরু হয় প্রশাসনিক দৌড়-ঝাপ। বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ সি.ডি.পি.ও দপ্তরের এক প্রতিনিধি দল ঘটনার তদন্তে নামে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গিয়াকামী এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।