স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ নভেম্বর : ৭০ তম অখিল ভারত সমবায় সপ্তাহ উপলক্ষে মঙ্গলবার আগরতলা টাউন হলে সমবায় দপ্তর ও ত্রিপুরা রাজ্য সমবায় ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত হয় আগরতলা টাউন হলে। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা সহ দপ্তরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, মেয়র দীপক মজুমদার। প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সমবায় সপ্তাহ পালন করা হয়।
এবারের সমবায়ের ভাবনা পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি এবং স্থায়ী উন্নয়নের লক্ষে সমবায়ের ভুমিকা। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বক্তব্য রেখে বলেন, সমবায় মন্ত্রকের ভাবনার চিন্তা হলো সমবায়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধি করা। এবং গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ ঘটানো। তাহলেই এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ে উঠবে। আরো বলেন, এ ধরনের আলোচনা চক্রের আয়োজন করার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো তৃণমূল স্তর পর্যন্ত সমবায়ের বিষয়ে তুলে ধরা। আজকের এই সভা থেকে যাতে জাতীয় সমবায় নীতি তৈরি করা যায় সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। আগামী পাঁচ বছরে কিভাবে সমবায় সমিতির মাধ্যমে উন্নয়ন করা যায় সেই লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন ২০১৮ সালের পর রাজ্য ১৭২৬ টি সমবায় কমিটি গঠন হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন মানুষ খালি বলে চাকরি চাই, চাকরি চাই। সমবায়ের মাধ্যমে মানুষ চাকরি থেকে অধিক রোজগার করতে পারে। তাই সমবায়কে আন্দোলনের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে এগিয়ে আসার জন্য জানান তিনি। মু্খ্যমন্ত্রী বলেন সরকার কৃষক সমৃদ্ধি কেন্দ্র খোলার দিকেও পরিকল্পনা নিয়েছে। এতে করে কৃষকরা উপকৃত হবে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো কখনো কোন দুর্নীতির খবর সামনে ভোটে আসার বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। সমিতির পরিচালন কমিটির মধ্যে যতক্ষণ না পর্যন্ত স্বচ্ছতা, একাগ্রতা না থাকবে ততক্ষণ সমবায়ের সেন্টারগুলিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাজ্যে বর্তমানে ২০ টি জন ঔষুধী কেন্দ্র রয়েছে। ল্যাম্পস প্যাক্সের মাধ্যমে যাতে আরও বেশি করে এ ধরণের সেন্টার খোলা যায় সেবিষয়টি দেখার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। এদিন আলোচনা সভায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ল্যাম্পস-প্যাক্সের সঙ্গে যুক্ত লোকজন অংশ নেন। অনুষ্ঠানে টাউন হলের বাইরে মুখ্যমন্ত্রী সমবায় ব্যাঙ্কের একটি মোবাইল ভ্যানের সূচনা করেন।